ইমরুলের ৯৩ ও তুষার ইমরানের ৪৩ রানের ইনিংসে জাতীয় লিগের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তুলেছে খুলনা। দলটি এখনও পিছিয়ে আছে ৩৪ রানে। কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ৩৫ ও আব্দুর রাজ্জাক ৭ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম স্তরের ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুক্রবার খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। রানের খাতা খোলার আগেই শফিউল ইসলামের বলে আউট হয়ে সৌম্য।
আগের রাউন্ডের মতো এবারও তিনে নামেন ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হকের সঙ্গে যোগ করেন ৭৫ রান। ৩৪ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে আউট হন এনামুল।
তৃতীয় উইকেটে তুষারের সাথে ৮৫ রানের আরও একটি কার্যকরী জুটি গড়েন ইমরুল। ৮৪ বলে ছয়টি চারে স্পর্শ করেন ফিফটি। এরপর দৃঢ়তার সাথে ইনিংসকে নিয়ে যাচ্ছিলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে। যেতে পারেননি ততদূর। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে কাটা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ইমরুল ক্রিজে পৌছানোর আগেই নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো ধরে স্টাম্প ভাঙেন রাজশাহীর উইকেটরক্ষক শাকির হোসেন। ৯৩ রানের ইনিংসে চার ছিল ১০টি।
‘নার্ভাস নাইন্টি’তে আউট হবার তিক্ত স্বাদ এর আগেও একবার পেয়েছেন ইমরুল। ২০১৪/১৫ মৌসুমের জাতীয় লীগে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছিলেন ৯৪ রান করে।
ইমরুলের বিদায়ের পর বড় কোন জুটি পায়নি খুলনা। সানজামুল ইসলামের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরা মিঠুন করেন ৪ রান। তাইজুলের বলে ফেরার আগে ৪৩ রান করেন তুষার। আগের দিন বোলিংয়ে আলো ছড়ানো মিরাজ ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। শফিউল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে করেন ৫ রান।
শেষ বিকেলের বাকি সময়টা রাজ্জাককে নিয়ে নিরাপদেই পার করেছেন সোহান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১
খুলনা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৭/৬ (এনামুল ৩৪, সৌম্য ০, ইমরুল ৯৩, তুষার ৪৩, মিঠুন ৪, নুরুল ৩৫*, মিরাজ ৫, রাজ্জাক ৭*; শফিউল ১৬-২-৫৫-২, মোহর ১২-২-২৯-০, রেজা ১১-৪-২৪-০, তাইজুল ৩১-৫-৭৫-২, সানজামুল ২০-৭-৩৮-১)