প্রথম বিভাগ টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের ৫১ রানের জয়ের দিনে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব ও র্যাপিড ফাউন্ডেশন।
রূপগঞ্জ-কাকরাইল
‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে রূপগঞ্জ টাইগার্স। ৩২ বলে ৮ চার ও এক ছয়ে ৫৩ রান করেন ওপেনার ইমরান হোসেন। দুটি করে চার ও ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ফিরোজ মাহমুদ। চার ওভারে এক মেডেনসহ ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের মুশফিকুর ইসলাম সাউজান।
রান তাড়ায় ১৫.৫ ওভারে ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় কাকরাইল। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দলের সফলতম খেলোয়াড় সাউজান। ১২ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় তিনি করেন ২৩ রান। ৯ রানের মধ্যে কাকরাইল হারায় শেষ চারটি উইকেট।
তিনটি করে উইকেট নেন রূপগঞ্জের তন্ময় পাটোয়ারী ও মেরাজ মাহবুব।
অগ্রণী ব্যাংক-কালিন্দী
‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অগ্রণী ব্যাংক বড় সংগ্রহ পায় ওপেনার নবীন ইসলামের ফিফটি ও জাকিরুল আহমেদের ঝড়ো ইনিংসে। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে দলটি করে ১৬৮ রান। ২২ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৬ রান করেন জাকিরুল। ৪০ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় নবীন করেন ৫৭। কালিন্দী ক্রীড়া ক্লাবের ইজাজ আহমেদ রকি ও শোভন দাস সানি নেন দুটি করে উইকেট।
ব্যাট হাতেও দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন রকি। তিনে নামা আমানুল্লাহকে সঙ্গী করে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি গড়েন ৯২ রানের জুটি, যেখানে আমানুল্লাহর অবদান মাত্র ১৭।
চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত হোসেনের সাথে ৩২ রানের আরেকটি জুটি গড়ে দলকে আরও খানিকটা এগিয়ে নিয়েছিলেন রকি। কিন্তু ৯১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তার ৬৫ বলের ইনিংসে নয়টি চারের পাশাপাশি ছিল চারটি ছক্কা।
তার বিদায়ের পরই খেয় হারায় কালিন্দী। ১১ রানের ব্যবধানে হারায় আরও ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৫৮ রান। ম্যাচ হারে ১০ রানে।
অগ্রণী ব্যাংকের আরিফুল হাসান সবুজ ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট।
র্যাপিড ফাউন্ডেশন-আজিম ক্রিকেট ক্লাব
‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় র্যাপিড ফাউন্ডেশন। শরিফুল ইসলামের ৩৬ ও মোহাম্মদ মানিকের ২৭ রানের ইনিংসে শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১২৬ রান। আজিম ক্রিকেট ক্লাবের আরিফুর রহমান ৩ ওভারে ২০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় ৭ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে আজিম ক্রিকেট ক্লাব। তৃতীয় উইকেটে ইশাক সজল ও মহিউদ্দিন মিয়ার ৪০ রান তাদের ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটি। ২৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ইশাক। ২৫ বলে দুই ছক্কায় ১৯ রান করে আউট হন মহিউদ্দিন।
২৮ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় আজিম ক্রিকেট ক্লাব। ৯৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে ২৯ রানে।
৩.৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন র্যাপিড ফাউন্ডেশনের আবু হাশিম।
উদয়াচল-পূর্বাচল
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার আশিক চন্দ্র দাশের ৪৭ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১০৯ রান করে উদয়াচল। পূর্বাচলের মোহাম্মাদ সুমন নেন ১৬ রানে ৩ উইকেট।
জবাবে রোকন উদ্দিন (৩১) ও রাকিবুল হাসান মোল্লার (২৩) গড়া ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটির উপর দাঁড়িয়ে ৪ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পূর্বাচল। সাদেকুর রহমান ও আহমেদ আবিদুল নেন দুটি করে উইকেট।