দুজনই দেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট পরিচিত নাম, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তারপরও সানি ও আল আমিনের ভারত সফরের দলে জায়গা পাওয়া বড় চমক। এই সফর তো বটেই, গত কিছু দিনে বা সবশেষ অনেক দিন ধরেই দলের আশেপাশে বিবেচনা করা হয়নি দুজনকে।
টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন ওপেনার সৌম্য সরকারও। আর ছুটি শেষে অনুমিতভাবেই ফিরেছেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। সবশেষ দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের দল থেকে বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
সানি-আল আমিন দুজনই টি-টোয়েন্টিতে বা বাংলাদেশ দলে সবশেষ খেলেছেন ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই আসরেই অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয় বাঁহাতি স্পিনার সানির। অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরাতে না পেরে নিষিদ্ধ হন। কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর খেলতে পারেননি।
পরে অ্যাকশন শুধরে ক্রিকেটে ফিরেছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। মাঝে পারিবারিক ঝামেলায় জড়িয়ে ক্রিকেট থেকেও খানিকটা দূরে থাকতে হয়েছে। পরে ধীরে ধীরে আবার পথে এনেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যারিয়ার। এবার সুযোগ পেলেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবনের।
বাংলাদেশের হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে সানি উইকেট নিয়েছেন ১২টি।
সানির মতো তার সামনেও সুযোগ এলো থমকে যাওয়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নতুন গতি আনার। বরাবরই উইকেটশিকারী বলে বিবেচিত আল আমিন বাংলাদেশের হয়ে ২৫ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।
গত বিপিএলে ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন সানি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন ৭.৬৪। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ওভারপ্রতি ৭.৫৩ রান দিয়ে।
ভারত সফরের টি-টোয়েন্টি দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, আরাফাত সানি, সৌম্য সরকার, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আল আমিন হোসেন।