শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় আনঅফিসিয়ালওয়ানডেতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করেন সাইফ। পরে দলের জয়ে বোলিংয়েও রাখেন ভূমিকা।দেশে ফিরে রোববার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে ২০ বছর বয়সী এই ওপেনার জানান,এই মুহূর্তে কেবল নিজের খেলায় উন্নতির কথাই ভাবছেন তিনি।
“প্রিমিয়ার লিগ থেকে ভালো হচ্ছিলো। সেখান থেকেই আসলে নিজেরএকটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো হয়েছে। আবার ভারতেও কিছুইনিংস ভালো ছিল। যে সুযোগটি পাই সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”
এর মধ্যে প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন সাইফ। রানও পেয়েছেন কিন্তু ধারাবাহিকভাবেবড় ইনিংস খেলতে পারেননি। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাইফ ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।১৬ ইনিংসে ৮১৪ রান করেছিলেন ৬২.৬১ গড়ে, সেঞ্চুরি ছিল ৩টি, ফিফটি ৪টি। কদিন আগে বাংলাদেশঅনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ভারত সফর করে এলেন। সেখানে চারটি একদিনের ম্যাচে তার রান ছিল২৭, ৭, ৬৪ ও ১২।
তার আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে খেলেছেন শ্রীলঙ্কা ইমার্জিংদলের বিপক্ষে। সেই সিরিজে ভালোই রান পেয়েছিলেন সাইফ। তিনটি একদিনের ম্যাচে করেছিলেন৫০, ২৭ ও ১১৭। লঙ্কানদের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচের সিরিজে আবার ছিলেন অনুজ্জ্বল। তিনইনিংসে তার রান ছিল ১৮, অপরাজিত ৪০ ও ৪।
এবার শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ৩২, ৫ ও ১১৭রান। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের সেঞ্চুরির পর বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। এখান থেকে নিজেকে নিয়েযেতে চান নতুন উচ্চতায়।
“জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নিচ্ছি। চেষ্টাকরছি আরো ফিট হওয়ার। ফিল্ডিং, ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি আনার। যখন খেলব তখনই ঘাটতি বেরহবে। সেই ঘাটতি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। যতটা উন্নতি করব এবং যতটা প্রস্তুত হবো,ততো ভালো হবে জাতীয় দলের জন্য।”