শহিদুলের ব্যাটিং বীরত্ব, জাবিদের দৃঢ়তা

শামসুর রহমান শুভ ও মাহমুদউল্লাহর ফিফটির পরও ঢাকা মেট্রোর লিড পাওয়ার সম্ভাবনা মাঝে ফিকে হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন জাবিদ হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2019, 11:15 AM
Updated : 12 Oct 2019, 01:45 PM

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মেট্রোর সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান। কিপার-ব্যাটসম্যান জাবিদ ৮১ ও শহিদুল ৮২ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে ১৪৮ রানের জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন ৫৯ রানের লিড।  

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে মেট্রো। মাঠে নামার আগেই বড় একটা ধাক্কা খায় তারা। আগের দিন হাঁটুতে বল লাগায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান।

মাসুম খানের স্টাম্প সোজা বল লেগে ঘুরাতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন শামসুর। ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৫৫ রান।

টানা ভালো বোলিং করে যাওয়া মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি দারুণ এক ডেলিভারিতে আল আমিন জুনিয়রকে বোল্ড করে দেন। কট বিহাইন্ড করেন সৈকত আলীকে। পরে এই লেগ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেওয়া বল ওড়ানোর চেষ্টায় মাসুমের হাতে ধরা পড়েন আরাফাত সানি।

আফ্রিদিকে বেরিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকানোর পর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অফ স্পিনার রনি চৌধুরীকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ফিরে যান শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে। ৫ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ করেন ৬৩ রান।

২০১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে লিডের আশা জাগিয়েছিল চট্টগ্রাম। পাল্টা আক্রমণে সেটা ভেঙে দেন শহিদুল। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জাবিদ। অবিচ্ছিন্ন এই জুটি কাটিয়ে দিয়েছে ৪৫ ওভার। দ্বিতীয় নতুন বলেও এই জুটি ভাঙতে পারেনি চট্টগ্রাম।

আগের সেরা ৫৮ ছাড়িয়ে ৮২ রানে খেলছেন শহিদুল। তার ১৩৭ বলের ইনিংস গড়া ৯ চার ও এক ছক্কায়। শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন জাবিদ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ফিরে পাওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান খেলছেন আস্থার সঙ্গে। ২১০ বলে খেলা তার দায়িত্বশীল ইনিংসে আছে চারটি চার।   

তরুণ স্পিনার আফ্রিদি ১০৩ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মাসুম, রনি ও নোমান চৌধুরী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২৯০

ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৬৬/২) ১২২ ওভারে ৩৪৯/৭ (শামসুর ৫৫, মার্শাল আহত অবসর ২১, মাহমুদউল্লাহ ৬৩, আল আমিন জুনিয়র ৫, সৈকত ৫, জাবিদ ৮১*, সানি ৬, শহিদুল ৮১*; নোমান ২৩-১-৬৮-১, রনি ২৬-৫-৬২-১, মেহেদি ২১-৬-৫৮-০, আফ্রিদি ৩০-২-১০৩-৩, মাসুম ১৪-০-৩৮-১, মুমিনুল ৮-২-১১-০)