রাব্বির দ্বিতীয়, সুমনের প্রথম

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরে একজন এরই মধ্যে দেশের হয়ে খেলেছেন টেস্ট। আরেকজন নজর কেড়েছেন গতি আর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য। দুই প্রজন্মের দুই পেসার জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় দিন মিললেন এক বিন্দুতে। দারুণ বোলিংয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সুমন খান তুলে নিলেন ৫ উইকেট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2019, 04:20 AM
Updated : 12 Oct 2019, 01:45 PM

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথমবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সুমন। মানিকগঞ্জের ১৯ বছর বয়সী পেসারের তোপে প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর বিপক্ষে লিড নিয়েছে ঢাকা।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সহায়ক কন্ডিশনে দ্বিতীয় দিন নতুন বলে রাজশাহীকে কাঁপিয়ে দেন সুমন। মিজানুর রহমানকে ফেরানোর পর বোল্ড করে বিদায় করেন অভিজ্ঞ জুনায়েদ সিদ্দিক ও অভিষেক মিত্রকে।

তৃতীয় সকালে আবার আঘাত হানেন সুমন। ফরহাদ রেজাকে কট বিহাইন্ড করে শুরুতেই নেন উইকেট। পরে তাইজুল ইসলামকে থামিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পান পাঁচ উইকেটের স্বাদ।

৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে শনিবার রাজশাহীকে ১৯৭ রানে থামান সুমন। প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করা ঢাকা পায় ৪৩ রানের লিড।

সুমনের আগেই রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগুন ঝরানো বোলিং পাঁচ উইকেট তুলে নেন রাব্বি। দেশের হয়ে ৭টি টেস্ট খেলা এই পেসার দ্বিতীয় দিন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সিলেটের দুই ওপেনারকে।

তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই বোল্ড করে দেন আগের দিন দৃঢ়তা দেখানো জাকির হাসানকে। সেই ওভারেই শূন্য রানে কট বিহাইন্ড করে থামান আরেক সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান জাকের আলীকে।

পরের ওভারে শাহানুর রহমানকে বোল্ড করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো স্পর্শ করেন ৫ উইকেট। সেই ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার ছিল ১২-৫-১৩-৫!

পরে আক্রমণে ফিরে রেজাউর রহমানকে কট বিহাইন্ড করে সিলেটকে ৮৬ রানে গুটিয়ে দেন রাব্বি। ২৪ রানে ৬ উইকেট নেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ৫/৬৫।

রাব্বির বোলিং তোপে সিলেট শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ১৮ রানে।