বিপিএলে বাধ্যতামূলক লেগ স্পিন, গতিময় পেসার

বিপিএলের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলকে বাধ্যতামূলকভাবে খেলাতে হবে স্থানীয় একজন লেগ স্পিনার। তাকে দিয়ে করাতে হবে পুরো চার ওভার। খেলাতে হবে গতিময় পেসার। এমন অনেক বাধ্যবাধকতা রাখার আভাস দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 01:27 PM
Updated : 10 Oct 2019, 01:54 PM

আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা বিপিএলের সপ্তম আসর। তবে বৃহস্পতিবার গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি শেখ সোহেল জানান, কিছু দিন পেছাতে পারে এবারের টুর্নামেন্ট।

“আমরা আস্তে ধীরে এগোচ্ছি। শুরু করার কথা ডিসেম্বরের ৬ তারিখে, হয়তো ১ সপ্তাহ পেছাতে পারি।”

চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৮ দল মিলিয়ে লেগ স্পিনার আছেন পাঁচ জন। ৭ দলের বিপিএলের প্রতিটি ইনিংসে স্থানীয় লেগ স্পিনারদের কাছ থেকে ৪ ওভার চায় গভর্নিং কাউন্সিল!

“বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আমরা কিছু বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিব। টুর্নামেন্টটা করার প্রধান কারণ-বাংলাদেশের খেলোয়াড় বের করে আনা। তাই বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যদি পজিশনমতো ব্যাটিং করতে না পারে, বোলিং করতে না পারে, তবে এই টুর্নামেন্টের সার্থকতা কমে যাবে।”

“কিছু কিছু নিয়ম ম্যান্ডাটরি থাকবে … আমাদের জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কিছু সাজেশন আসছে যে, আমাদের লেগ স্পিনার দরকার, প্রতিটি দলে একজন লেগ স্পিনার খেলাতেই হবে এবং তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৪ ওভার বোলিং করাতেই হবে।”

বিদেশি খেলোয়াড় আনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে গতিময় পেসারদের।

“যারা ইন্টারন্যাশনাল ফাস্ট বোলার আছে, তাদের মধ্যে মিনিমাম ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে এমন বোলার যেন আসে। আমাদের খেলোয়াড়দের একটা ভারসাম্য চাই।”

এবারের আসরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। দলগুলো চলবে স্পন্সরদের টাকায়। আগ্রহীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে গভর্নিং কাউন্সিল। সভা শেষে স্পন্সরদের ভূমিকা সম্পর্কে জানান বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম।

 “তারা দলের মালিক হবেন না। তারা শুধু দলের স্পন্সরশিপটাই পাবেন। এর সাথে সাথে তারা কি সুবিধা পাবেন সেগুলো আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি।”

যতটুকু আভাস দিয়েছেন মাহবুব তাতে দল পরিচালনায় স্পন্সরদের ভূমিকা থাকবে সামান্যই।

“দল গঠনে তাদের সরাসরি কোনো ভুমিকা থাকবে না। পরোক্ষভাবে তারা হয়তো সাজেস্ট করতে পারবেন যে, তাদের দলে কে কে এলে তারা ভালো মনে করে, ইনডাইরেক্টলি সেটা থাকবে।”

“কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। স্পন্সর টাকা দেবে। সে টাকা বিসিবি খরচ করবে। বিগ ব্যাশ যেভাবে হয় সেভাবে হবে। বিগ ব্যাশে মালিক স্টেট টিম। এসিবি নিজস্বভাবে খরচ করে। স্পন্সরশিপ একেকটি দলের জন্য একেকটি হয়।”

গভর্নিং কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ঠিক হবে ড্রাফট থেকে দল গঠনের দিনক্ষণ। মাহবুব জানান, এর বাইরেও বিদেশি খেলোয়াড় নিতে পারবে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও একাদশে তাদের খেলা না খেলা নিয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য থাকবে না তাদের।

“বলা বাহুল্য যে, বিপিএলের এবারের ড্রাফটের আগেই আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের অন্তুর্ভুক্ত করছি। চারশর কাছাকাছি খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছে। তবে যদি কোন এডিশনাল বিদেশি প্লেয়ার টিম স্পন্সররা নিতে চায় তারা নিজেদের খরচে তাদের দলে নিতে পারবে।”

দল পরিচালনার মূল দায়িত্ব থাকবে গভর্নিং কাউন্সিল নিযুক্ত টিম ডিরেক্টরের। তারা কারা হতে পারেন তার একটি ধারণা দিলেন মাহবুব।

“বিসিবিতে যারা আছেন তারা প্রত্যেকে ক্রিকেট সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। আমরা যাদের চাচ্ছি দায়িত্বটা দিতে, তারা সাবেক ক্রিকেটার হতে পারে, সংগঠক হতে পারে। বোর্ডের ডিরেক্টর থেকেই নিয়োজিত হবেন।”

এখনও চূড়ান্ত হয়নি ভেন্যু সংখ্যা। ব্রডকাস্টারের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হবে দুটি না তিনটি ভেন্যুতে হবে বিপিএল।