মুম্বাইয়ে গত জুলাইয়ে খালেদের হাঁটুর মিনিসকাসে অস্ত্রোপচার করানো হয়। মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শুরু করেছেন পুনর্বাসনের কাজ। জানালেন, অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে ক্রমশ ফিরে পাচ্ছেন নিজেকে।
“এখন রিহ্যাবে আছি, এর শেষ বলতে কিছু নেই। ভালো হয়ে গেলেও এটা চালিয়ে যেতে হবে। এখন ৭০ ভাগ ঠিক আছি। বায়েজিদ ভাইয়ের অধীনে আছি। উনি যা পরামর্শ দিচ্ছেন তাই করছি।”
“রিহ্যাবের অংশ হিসেবে স্যান্ড পিটে কাজ করছি, জিম করছি, রানিং, ওয়েট লিফটিং, স্কোয়াট মারছি, লেগ প্রেস এগুলাই করছি।”
একটু অদ্ভূতভাবেই চোট পেয়েছিলেন খালেদ।
“রোজার মাসে ক্যাম্প ছিল। সেটা শেষ করে ঈদের আগের দিন ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে টিভি দেখতে বসে পায়ে টান লাগে, তখন পা সোজা করতে গিয়ে জোরেই মেরে বসেছিলাম। তখনই চোটটা পাই।”
একাডেমি মাঠে খালেদের সঙ্গে ছিলেন খুলনার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলতে মঙ্গলবারই খুলনা যাবেন বাঁহাতি এই পেসার। দুই জনে গল্প করছিলেন জাতীয় লিগ নিয়ে। এই টুর্নামেন্টে ভালো করেই নজর কাড়েন খালেদ। পরে বিসিএলে ভালো করে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে।
এখন পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। তিন ইনিংসে বোলিং করে পাননি উইকেট। ভেবেছিলেন জাতীয় লিগে বোলিং নিয়ে কাজ করে ফিরবেন আরও ধারাল হয়ে। ম্যাচের পর ম্যাচ বাইরে থাকাটা পোড়াচ্ছে তাকে।
“সেটা তো অবশ্যই হতাশার, অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে আছি। শুধু এনসিএল না, ‘এ’ দলের খেলা মিস করছি, জাতীয় দল, এসব মিস যাচ্ছে। সমস্যা নেই, যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে আবার ফিরতে পারব।”
“নভেম্বরের শেষের দিকে আমাকে ছাড়পত্র দিবে, আশা করছি এর মধ্যে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারব। এরপর বোলিং শুরু করব। বিপিএল দিয়ে ফেরার আশা করছি।”