হাম্বানটোটার মাহিন্দা রাজাপাকসে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোমবার আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয় ৬৯ ওভার। বিনা উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা করে ২ উইকেটে ৩৫৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের।
ম্যাচের প্রথম দুই দিন দাপট দেখানো বাংলাদেশের শেষ দুই দিন কাটলো হতাশায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে মুমিনুল হকের দলের প্রাপ্তি কেবল দুই উইকেট, এর মধ্যে একটি রান আউট।
পাথুম নিসানকা ও সঙ্গিত কুরের আগের দিনের শতরানের জুটি শেষ দিনে বিচ্ছিন্ন হয় দুইশ পেরিয়ে । রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে ব্যক্তিগত ৮৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুরে। ভাঙে ২১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিশতকের দিকে ছুটছিলেন নিশানকা। শেষ পর্যন্ত রান আউট হয়ে ফেরেন ১৯২ রানে। বিচ্ছিন্ন হয় কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেটে গড়া ১৩২ রানের জুটি। ওপেনার নিশানকার ৩০৭ বলের ইনিংসটি গড়া ২০ চার ও এক ছক্কায়। কামিন্দু অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে।
৩৭ ওভার বোলিং করে উইকেটশূণ্য প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া মিরাজ। ইবাদত হোসেন চৌধুরী ও লাউদ্দিন সাকি মিলে ৪৩ ওভার বল করে সাফল্যের দেখা পাননি।
ম্যাচটি থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেবল প্রথম ইনিংসে মিরাজের সাত উইকেট ও মুমিনুলের সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল ১ম ইনিংস: ২৬৮
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ১ম ইনিংস: ৩৩০
শ্রীলঙ্কা ‘এ ২য় ইনিংস: ১০৭ ওভারে ৩৫৭/২ (নিসানকা ১৯২, কুরে ৮৯, কামিন্দু ৬৭*, আশান প্রিয়াঞ্জনা ৫*; ইবাদত ২১-২-৬০-০, মিরাজ ৩৭-৫-১১৮-০, শাকিল ২২-৪-৭৯-০, রিশাদ ২৩-২-৭৮-১, মিঠুন ১-০-৮-০, মুমিনুল ৩-০-১২-০)
ফল : ম্যাচ ড্র
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র।