বিশাখাপত্নম টেস্টে ২০৩ রানে জিতেছে বিরাট কোহলির দল। ৩৯৫ রান তাড়ায় শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে ফেরেন, চার জনই পেসার শামির শিকার।
পঞ্চম দিনে শুরুতেই প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলা শামি নেন পাঁচ উইকেট। এক ওভারে তিনটিসহ মোট চার উইকেট নেন জাদেজা।
জিততে শেষ দিনে ৩৮৫ রান করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে অথবা ম্যাচ বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হতো পুরোটা দিন। টপ ও মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি দলটি।
প্রথম আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ওভারে ডি ব্রুইনকে বোল্ড করে ৬৬ ম্যাচে ৩৫০ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করেন এই অফ স্পিনার। বসেন কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের পাশে।
পরের ওভারে শামির নিচু হয়ে আসা বল ভেঙে দেয় টেম্বা বাভুমার স্টাম্পস। ব্যাটিং ধসের মাঝে দায়িত্ব নিতে পারেননি প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কুইন্টন ডি ককও। ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে দলটি।
ম্যাচের ফলে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারলেও ভারতের প্রতীক্ষা বাড়ান ড্যান পিট ও সেনুরান মুথুসামি। নবম উইকেটে পিটের সঙ্গে ৯১ ও শেষ উইকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মুথুসামি।
পিট করেন ৫৬ রান। টেস্টে এটাই তার সর্বোচ্চ। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুথুসামি।
রাবাদাকে কট বিহাইন্ড করে জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নেন শামি।
জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩০৩ রান করা রোহিত শর্মা হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিং: ৫০২/৭ (ইনিংস ঘোষণা)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিং: ৪৩১
ভারত ২য় ইনিং: ৩২৩/৪ (ইনিংস ঘোষণা)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিং: (লক্ষ্য ৩৯৫) (আগের দিন ৯ ওভারে ১১/১) ৬৩.৫ ওভারে ১৯১ (মারক্রাম ৩৯, এলগার ২, ডি ব্রুইন ১০, বাভুমা ০, দু প্লেসি ১৩, ডি কক ০, মুথুসামি ৪৯*, ফিল্যান্ডার ০, মহারাজ ০, পিট ৫৬, রাবাদা ১৮; অশ্বিন ২০-৫-৪৪-১, জাদেজা ২৫-৬-৮৭-৪, শামি ১০.৫-২-৩৫-৫, ইশান্ত ৭-২-১৮-০, রোহিত ১-০-৩-০)
ফল: ভারত ২০৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রোহিত শর্মা
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ভারত ১-০তে এগিয়ে