ফিল্ডিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন মুশফিক

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে  ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন তামিম ইকবাল। সেই সময় মাঠে ঢুকতে দেখা গেল মুশফিকুর রহিমকেও। সঙ্গে স্থানীয় কোচ হুমায়ুন কবির শাহিন। মাঠের এক প্রান্তে শাহিনকে নিয়ে শুরু হলো মুশফিকের অনুশীলনও। তবে ব্যাটিং বা কিপিং নয়, ফিল্ডিং! লং ক্যাচ, শর্ট ক্যাচ চলল বেশ কিছুক্ষণ। তবে কি জাতীয় লিগে কিপিং করবেন না মুশফিক?

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 01:07 PM
Updated : 3 Oct 2019, 01:07 PM

অনুশীলন শেষে ফেরার পথে সেই কৌতূহল মেটালেন মুশফিক নিজেই, “নাহ, এখনও কিপিং করা বা না করা নিয়ে সেরকমভাবে কিছু ভাবিনি। তবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি…।”

এই প্রস্তুতি নিয়ে রাখাটাই জাগিয়ে তুলছে আরও কৌতূহল। এমনিতেই গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যুগুলোর একটি তার কিপিং। বিশেষ করে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে কিপিংয়ের চাপে তার ব্যাটিং অর্ডার নিচে চলে আসা বা কিপিংয়ের ক্লান্তির প্রভাব ব্যাটিংয়ে পড়ে কিনা, এসব নিয়ে চর্চা হয়েছে প্রচুর। এখনও হচ্ছে নিয়মিতই।

ব্যাটিং বাদ দিয়ে, স্রেফ কিপার হিসেবে তার পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে নিয়মিত। তাই কিপিং গ্লাভস রেখে ফিল্ডিংয়ে তার বাড়তি মনোযোগ, আলাদা করে লম্বা সময় অনুশীলন করা, এসব বাড়তি আগ্রহের খোরাক জোগানোর কথা যথেষ্টই।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মুশফিক জানালেন, বাইরের আলোচনা তার ভাবনায় প্রভাব রাখছে না মোটেও। খোলা মন নিয়ে রাজশাহীর হয়ে জাতীয় লিগ খেলতে চান বলেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।

“একটা ব্যাপার হলো, ফিটনেসের জন্যও কিন্তু ফিল্ডিং প্র্যাকটিস জরুরি! সেটির অংশ হিসেবেও বলতে পারেন এই ফিল্ডিং করছি। আর জাতীয় লিগে কিপিং করব, নাকি করব না, সেটি এখনও ঠিক করিনি। আমার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দল কোনটি চায়। দল যা চায়, সেটির জন্য আমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

“আমাদের দলে এমনিতেই কিপার আছে আরও। অমি ভাই (জহুরুল ইসলাম) তো নিয়মিতই কিপিং করছেন। হামিদুল আছে। আমাকে কিপিং করতে বললে করব। আর যদি দল মনে করে আমাকে কিপিংয়ে প্রয়োজন নেই, তাহলে তো ফিল্ডিং করতে হবে। সেটির প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছি। আমি সব পথ খোলা রেখেই জাতীয় লিগে খেলতে যাচ্ছি।”

প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১০৮ ম্যাচের ৮৪টিতেই কিপিং করেছেন মুশফিক। তবে গত কয়েক বছরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচ যে কয়েকটি খেলেছেন, স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন। সবশেষ গত বছরের এপ্রিলে বিসিএলের একটি ম্যাচ খেলেছিলেন উত্তরাঞ্চলের হয়ে বগুড়ায়, সেই ম্যাচে কিপার ছিলেন ধীমান ঘোষ। তার আগে ২০১৭ সালে জাতীয় লিগের এক ম্যাচ, ২০১৫ সালে জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচ খেলে একটিতেও কিপিং করেননি মুশফিক।

এবার করবেন কিনা, উত্তর মিলবে সময়ে। নভেম্বরে বাংলাদেশ দলের ভারত সফর। সেখানে টেস্ট সিরিজে মুশফিক কিপিং করবেন কিনা, সেটির খানিকটা বার্তাও মিলতে পারে এবারের জাতীয় লিগে।

আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে জাতীয় লিগের এবারের আসর।