ক্রিকেটের আইনকানুনের অভিভাবক সংস্থা হিসেবে পরিচিত অভিজাত এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাঙ্গাকারার মেয়াদ এক বছর। ১৭৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম নন-ব্রিটিশ প্রেসিডেন্ট এই লঙ্কান কিংবদন্তি। গত মে মাসে এমসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানানো হয়েছিল সাঙ্গাকারার নাম।
ক্রিকেট বিশ্বে দারুণ সম্মানজনক এই দায়িত্ব পেয়ে সাঙ্গাকারা জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।
“এমসিসির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্মান পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আগামী এক বছর এমসিসির সঙ্গে ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি। আমাদের ভালোবাসার খেলাটিতে আরও অনেক সমর্থক নিয়ে আসার সুযোগ আছে আমাদের। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমসিসি যেসব কাজ করে, সেসব নিয়ে মানুষকে আরও জানানোর প্রয়োজন আছে।”
এমসিসির সঙ্গে সাঙ্গাকারার সম্পর্কের শুরু সেই ২০০২ সালে। সফরকারী লঙ্কানদের হয়ে তিনি খেলেছিলেন এমসিসির বিপক্ষে। ২০০৫ সালে সুনামি আক্রান্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের ম্যাচে আবার এমসিসির বিপক্ষে খেলেছিলেন আন্তর্জাতিক একাদশের হয়ে।
তবে এমসিসির প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগসূত্র তৈরি হয় ২০১১ সালে। সেবার এমসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট কাউড্রে লেকচারে সাঙ্গাকারা বক্তৃতা দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। পরের বছরই তাকে সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ দেয় এমসিসি। সেই বছরই এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতে জায়গা পান তিনি। সেখানেও রাখেন সক্রিয়া ভূমিকা।
এবার ইংলিশ গ্রীষ্মে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দেখা গেছে সাঙ্গাকারাকে। সব মিলিয়ে ইংলিশ ক্রিকেট দারুণভাবেই মূল্যায়ন করছে সাঙ্গাকারাকে।