বাবরের সেঞ্চুরির পর জয়াসুরিয়া-শানাকার রেকর্ড জুটি

দারুণ এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন বাবর আজম। রান তাড়ায় বাজে শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ এক গল্প রচনার আশা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শেহান জয়াসুরিয়া ও দাসুন শানাকার রেকর্ড গড়া জুটি ভেঙে জয় তুলে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 06:47 PM
Updated : 30 Sept 2019, 07:10 PM

তিন ম্যাচের সিরিজে সোমবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৭ রানে জিতেছে পাকিস্তান। এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে যায় প্রথম ওয়ানডে। ৩০৫ রান তাড়ায় ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

এক দশক পর করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফিরল ওয়ানডে ক্রিকেট। ২০০৯ সালে এখানে সবশেষ ওয়ানডেতেও খেলেছিল এই দুই দল। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও ইমাম-উল-হকের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। দুই ওপেনারকেই ফেরান ভানিদু হাসারাঙ্গা। ৩১ রান করে ইমাম এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি। ৬৫ বলে ৫৪ রান করে বিদায় নেন ফখর।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের চার ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করা বাবর আবারও ভোগান দ্বীপ দেশটিকে। হারিস সোহেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১১১ রানের জুটি। রান আউট হয়ে হারিসের বিদায়ে ভাঙে বিপজ্জনক জুটি।

ছবি: পাকিস্তান ক্রিকেট

৯৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন বাবর। তার ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি। এরপর যেতে পারেননি বেশিদূর। ১০৫ বলে চার ছক্কা ও আট চারে ফিরেন ১১৫ রান করে। শেষের দিকে ২০ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে দলকে তিনশ রানে নিয়ে যান ইফতেখার আহমেদ।

রান তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। একাদশ ওভারে ২৮ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। নতুন বলে তিন উইকেট নেন উসমান শিনওয়ারি। শিকারে যোগ দেন ইমাদ ওয়াসিম। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যান কেবল দানুশকা গুনাথিলাকা। তাকে থামান মোহাম্মদ আমির।

এরপর ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেটে নিজেদের সেরা জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চামারা কাপুগেদারা ও চামারা সিলভা যোগ করেছিলেন ১৫৯ রান। সেটি ছাড়িয়ে ১৭৭ রান যোগ করেন জয়াসুরিয়া-শানাকা।

ছবি: পাকিস্তান ক্রিকেট

দুইবার ফ্লাড লাইট বিভ্রাটে ছন্দ পতন ঘটে সফরকারীদের খেলায়। তিন বলের মধ্যে ফিরে যান দুই থিতু ব্যাটসম্যান। আগের ১০ ম্যাচ মিলিয়ে ৯৬ রান করা জয়াসুরিয়া থামেন ৯৬ রানে। তাকে কট বিহাইন্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন উসামন। পরে বিদায় করেন উদানাকে।

মাঝে শানাকাকে বিদায় করেন ওয়াহাব রিয়াজ। ম্যাচ চলে যায় পুরোপুরি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। শেষের দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ব্যবধান কমান হাসারাঙ্গা।

দারুণ বোলিংয়ে ৫১ রানে ৫ উইকেট নেন উসমান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে একটি করে উইকেট নেন আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।

আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩০৫/৭ (ফখর ৫৪, ইমাম ৩১, বাবর ১১৫, হারিস ৪০, সরফরাজ ৮, ইফতেখার ৩২*, ইমাদ ১২, ওয়াহাব ২; জয়াসুরিয়া ১০-১-৪৮-০, প্রদিপ ৯-০-৫৯-০, উদানা ৯-০-৬০-১, কুমারা ১০-০৫৯-১, গুনাথিলাকা ২-০-৮-০, হাসারাঙ্গা ১০-০-৬৩-২)

শ্রীলঙ্কা: ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ (গুনাথিলাকা ১৪, সামারাবিক্রমা ৬, আভিশকা ০, ওশাদা ১, থিরিমান্নে ০, জয়াসুরিয়া ৯৬, শানাকা ৬৮, হাসারাঙ্গা ৩০, উদানা ১, কুমারা ১, প্রদিপ ০*; আমির ৭-১-২১-১, উসমান ১০-১-৫১-৫, ইমাদ ৭-১-৩৮-১, ওয়াহাব ৯-০-২৭-১, শাদাব ৯.৫-০-৭৬-২, ইফতেখার ৪-১-৯-০)

ফল: পাকিস্তান ৬৭ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: উসমান শিনওয়ারি