ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের ওপর

জাতীয় লিগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসে বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কমানো হয়নি। তবে সেখানে ছাড় দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। ফিটনেসের পাশাপাশি অন্যান্য দিকও বিবেচনায় নিয়ে ক্রিকেটারদের দলে রাখার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে নির্বাচকদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 01:00 PM
Updated : 30 Sept 2019, 01:01 PM

ফিটনেসের বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড নিয়ে প্রবল আলোচনা-সমালোচনার পর এলো এই সিদ্ধান্ত। সোমবার বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির সভার পর জানানো হয় ফিটনেসে কিছুটা ছাড় দেওয়ার কথা।  

গত মৌসুম থেকে জাতীয় লিগের জন্য ন্যূনতম ফিটনেস লেভেল রাখার পরীক্ষা দিয়ে খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশে ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় ‘বিপ টেস্ট’ দিয়ে, যেটি ক্রীড়াবিদদের জন্য বহুল প্রচলিত কয়েক ধাপের একটি ফিটনেস পরীক্ষা। গত মৌসুমে জাতীয় লিগের জন্য নূন্যতম বিপ টেস্ট স্কোর বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৯, এবার সেটি একবারেই করা হয়েছে ১১।

শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রচুর। এমনিতে বিপ টেস্টে ‘১১’ খুব বেশি স্কোর নয়। তবে বাংলাদেশে জাতীয় দলের কোনো কোনো ক্রিকেটারও অনেক সময় ১১ স্কোর তুলতে পারেন না। জাতীয় লিগে এমন অনেক ক্রিকেটার খেলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা জাতীয় দল বা এর আশেপাশে নেই। বছর জুড়ে তাদের ফিটনেস ধরে রাখার কোনো প্রোগ্রাম বিসিবির নেই। বিভাগীয় পর্যায়ে নেই ভালো জিম বা সুযোগ-সুবিধা। তারপরও হুট করে ন্যূনতম স্কোর ১১ নির্ধারণ করায় সমালোচনা করছিলেন ক্রিকেটারদের অনেকে।

এছাড়াও বিপ টেস্টে কেবল শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। ক্রিকেটে ম্যাচ ফিটনেসের আলাদা গুরুত্ব আছে বরাবরই। বিপ টেস্টে ভালো করা অনেকের অনেক সময় ম্যাচে ব্যাটিং বা বোলিং ফিটনেস যথেষ্ট থাকে না। বিপ টেস্টে ভালো স্কোর না করা কারও ব্যাটিং-বোলিং ফিটনেস হতে পারে ভালো।

সবকিছু বিবেচনা করেই নির্বাচকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিটনেসের পাশাপাশি অন্যান্য দিক বিবেচনা করার। সোমবার বিকেলে সভা শেষে সেটি জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।

“ফিটেনসের ব্যাপারটি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি ফিটনেস লেভেল আগেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করা হবে সেটি ধরে রাখতে। পাশাপাশি নির্বাচকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

“টার্গেট স্কোর যেটা, সেটিই থাকবে। যেহেতু ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, এটিতে আমরা জোর দিচ্ছি। তার পরও যদি কেউ বিবেচনায় আসে, নির্বাচক কমিটিকে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটি তারা বিবেচনা করবেন। পুরোপুরি তাদের এখতিয়ার সেটি।”

সভায় ঠিক হয়েছে, এবারের জাতীয় লিগ শুরু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। খেলা হবে দেশের চারটি ভেন্যুতে, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, ফতুল্লা, রাজশাহী ও খুলনা।