অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে তাসকিন খেলতে পারছেন না নিশ্চিতভাবেই। কোন রাউন্ড থেকে খেলতে পারবেন, সেটি বোঝা যাবে আরও কিছুদিন পুনবার্সন প্রক্রিয়া চলার পর।
তাসকিন সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলঙ্কা সফরে, গত ২৩ জুলাই প্রস্তুতি ম্যাচে। সেই ম্যাচে ভালো করতে পারেননি। সুযোগ মেলেনি মূল সিরিজের কোনো ম্যাচে। নতুন মৌসুম শুরুর আগে অনুশীলন ক্যাম্পে অবশ্য জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু ঠাঁই মেলেনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দলে।
নিজেকে তবু প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নেটে। নতুন চোটের হানা তখনই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষে ঢাকায় ফিরে জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান কালেফাতো পর্যবেক্ষণ করেন চোটের অবস্থা। স্ক্যান করানো হয়। নিশ্চিত হয় সাইড স্ট্রেইন।
কয়েকদিন বিশ্রামের পর আবার শুরু হয়েছে তার মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া। নিজে নিজেই টুকটাক শুরু করেছিলেন, রোববার থেকে শুরু হয়েছে কালেফাতোর তত্ত্বাবধানে পুনবার্সন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তাসকিন জানালেন, তার পুনর্বাসনের সূচি তৈরি করেছেন কালেফাতো। জাতীয় দলের নতুন এই ফিজিওর চাওয়া, পুরোপুরি চোট মুক্ত হয়ে তবেই যেন মাঠে নামেন তাসকিন।
“স্ক্যানে ধরা পড়েছিল গ্রেড ওয়ান ইনজুরি, খুব গুরুতর নয়। তারপরও ফিজিও খুব সাবধানে এগোতে চাচ্ছেন। কালেফাতো আমাকে বলেছেন, ‘তোমার যত স্কিলই থাকুক, দুই দিন পরপরই ইনজুরিতে পড়লে লাভ নেই। এই অবস্থা বদলাতে হবে।’ আগে এমন হয়েছে যে ইনজুরি হয়তো শতভাগ সারেনি, তার আগেই মাঠে নেমেছি। তেমন কিছু আর চান না এই ফিজিও।”
কবে নাগাদ তাসকিন মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটি নিশ্চিত নয়। তবে কালেফাতোর কাছ থেকে যে ধারনা তিনি পেয়েছেন, তাতে অপেক্ষা খুব দীর্ঘ হওয়ার কথা নয়।
“কবে নাগাদ বোলিং শুরু করতে পারব, সেটি বলেননি এখনও। হয়ত এই সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে। তারপর আস্তে আস্তে ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় ফিরতে হবে। যেহেতু চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে, দিনে ১৫-২০ ওভার বোলিং করার মতো অবস্থায় আসতে হবে।”
“আশা করি দুই সপ্তাহ বা আরেকটু বেশি সময়ের মধ্যে পারব। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড খেলতে পারব না। তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাউন্ডে চেষ্টা করব।”
চোট পাওয়ার আগে অনুশীলন ক্যাম্পে কয়েকদিন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গে কাজ করেছেন তাসকিন। নিজের করণীয় নিয়ে একটি ধারনাও তাকে দিয়েছেন জাতীয় দলের নতুন বোলিং কোচ। চোট কাটানোর পর সেই নির্দেশনা মেনেই স্কিল ট্রেনিং করতে চান তাসকিন।
“ল্যাঙ্গাভেল্টের একটি ব্যাপার ভালো লেগেছে যে তিনি সবকিছু বেশ সিম্পল রাখতে চান, জটিল কিছু চান না। মৌলিক দিকগুলোয় কাজ করতে চান। আমাকে বলেছেন, যত বেশি সম্ভব ডেলিভারি সিমে যেন পিচ করাতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে রাবাদা, মর্নে মর্কেলরা নাকি এটিতেই বেশি জোর দেয় অনুশীলনে। সিম থেকে বল মুভ করে, লাফও দেয়। রাবাদা-মর্কেলের মতো উচ্চতার কারণে আমিও বাড়তি বাউন্স পাব। বোলিং শুরু করার পর সিমে আরও নিয়মিত বল রাখার অনুশীলন করব।”