অর্ধেকের বেশি ভোট (কাস্ট হওয়া ২২৩ ভোটের ১৪৭টি) পেয়ে শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আজহার। ২০১৭ সালে জানুয়ারির নির্বাচনেই প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে ২০০০ সালে তার উপর বিসিসিআইয়ের দেওয়া আজীবন নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত হওয়ায় তার মনোনয়ন পত্র সেবার গ্রহণ করেননি সে সময়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা।
২০১২ সালে যদিও অন্ধ্র প্রদেশের হাই কোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছিল। তবে ওই আজীবন নিষেধাজ্ঞার পর ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না আজহার। ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে নতুন পরিকল্পনায় ক্রিকেটের উন্নতি ঘটাতে চান আজহার।
“সবকিছু পুনর্বিন্যাস করে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। জিমখানা মাঠের অবস্থা দেখুন, এটা গরু চরানোর জন্য পড়ে আছে। আমাদের এখন তৃণমূলে যেতে হবে এবং প্রতিভা খুঁজে বের করতে হবে।”
“সদস্যরা তাদের কাজ করেছেন, এবার আমার কাজ শুরু। আমি জানি, এটা সহজ হবে না। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ধুঁকতে থাকা ক্রিকেটকে আবারও জাগিয়ে তুলতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান আজহার ৯৯ টেস্টে ২২টি সেঞ্চুরি আর ৪৫.০৩ গড়ে করেন ৬ হাজার ২১৫ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে নয় হাজারের বেশি রান আছে তার। লম্বা সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতকে।
এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকছেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।