তারিখ এখনও চূড়ান্ত না হলেও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হওয়ার কথা এবারের জাতীয় লিগ। ২০০০-২০০১ মৌসুম থেকে শরীফ খেলছেন এই টুর্নামেন্টে। প্রথশ শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩২ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ৩৯৩টি। ৩০০ উইকেটও নেই দেশের আর কোনো পেসারের।
দীর্ঘ পথচলায় জাতীয় লিগের আদ্যোপান্ত জানা শরীফের। টুর্নামেন্টের অনেক সমস্যা তিনি দেখে আসছেন সেই দেড় যুগ আগে থেকেই, চলছে এখনও। তবে গত কয়েক মৌসুমে যে সমস্যাটি বেশি ভোগাচ্ছে, সেটির কথা তুলে ধরলেন নতুন মৌসুমের আগে।
“একটা কথা বলা ঠিক হবে কিনা জানি না, তবু বলা জরুরি। বল যেন ভালো হয়। বলের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। বল অনেক সময়ই খুব দ্রুত সফট হয়ে যায়। এমনিতেই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকে না। তারপর বলও সফট হলে বোলারদের কিছু করার থাকে না।”
“গত ২-৩ বছরে অনেকবার এরকম হয়েছে, ৪-৫ ওভারের মধ্যে নতুন বল বদলাতে হচ্ছে। বলের মান সেখান থেকেই বোঝা যায়। এদিকটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।”
বাংলাদেশ সাধারণত ঘরের মাঠে এসজি-টেস্ট বলে টেস্ট ম্যাচ খেলে। শরীফ জানালেন, জাতীয় লিগেও এসজি বলেই খেলা হয়। কিন্তু সেটি সেরা মানের এসজি বল কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে প্রবল।
“এসজি বলেই খেলা হয়। কিন্তু সেটি সেরা মানের কিংবা গ্রেড ওয়ান কিনা, আমরা জানি না। হতে পারে গ্রেড ওয়ান। কিন্তু অনেক সময় আমরা ভালো বলটি নাও পেতে পারি। পুরানো হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। বল ভালো থাকলে, উইকেট একটু শুষ্ক থাকলেও মানিয়ে নেওয়া যায়।”
বল উন্নত মানের না হওয়ায় ভোগান্তি শুধু বোলারদেরই নয়, শরীফের মতে, পিছিয়ে পড়ছে সামগ্রিক ক্রিকেটের মানই।
“বল এত দ্রুত নরম হয়ে যায় যে পেসারদের সু্ইং-বাউন্স তো থাকেই না, স্পিনারদেরও ধার থাকে না। ব্যাটসম্যানরা আরামে খেলে। বল কিছুই করে না, সোজা আসে। দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে আসলে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিই হতে হয়নি!”
“উইকেটের কথা তো আমরা অনেক দিন থেকেই বলছি। ভালো উইকেট যেমন খুব জরুরি, তেমনি ভালো মানের বলও জরুরি। আমার শুধু নয়, এটা আমাদের অনেকেরই চাওয়া।”