ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে ডাক পেয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন শান্ত। রান করেছেন ১১ ও ৫। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ডাক পাওয়াটাই অবশ্য ছিল বিস্ময়ের। তার ব্যাটিংকে টি-টোয়েন্টির জন্য মানানসই মনে করা হয়নি কখনোই।
তবে যেখানে তাকে নিয়ে আশা ছিল অনেক, সেই টেস্ট ও ওয়ানডেতেও কার্যকর কিছু এখনও করতে পারেননি শান্ত। দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে করতে পারেননি বলার মতো কিছু।
এখনই তাকে নিয়ে রায় দেওয়ার মতো যথেষ্ট ম্যাচ যদিও তিনি খেলেননি; তবে অভিষেক টেস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো ম্যাচেই তার ব্যাটিংয়ে তেমন স্বস্তির ছাপ ছিল না খুব একটা।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে দেশের ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ মনে করা হয়েছে শান্তকে। যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড তার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর একাডেমি, হাই পারফরম্যান্স ও ‘এ’ দলেও যথেষ্ট বিনিয়োগ করা হয়েছে তাকে নিয়ে। সেসবের ফল এখনও মেলেনি।
সব মিলিয়ে শান্তকে নিয়ে হতাশার সুর নিয়েই ডমিঙ্গোর কাছে প্রশ্ন করা হলো, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে তাকে আবার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা। কোচ সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি, তবে শান্তকে নিয়ে উচ্ছ্বাস লুকালেন না।
“সে তরুণ একজন ক্রিকেটার। যতটুকু দেখেছি, আমি ওকে নিয়ে মুগ্ধ। সে যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে, যেভাবে ট্রেনিং করে, তার ফিল্ডিং, ফিটনেস, সবকিছু দারুণ। কখনও কখনও রান ও উইকেটের চেয়েও বড় কিছু থাকে। তার ওয়ার্ক এথিক অবিশ্বাস্য। তার মানসিকতা দারুণ, যেটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রান করতে পারেনি, কিন্তু ওকে দেখে আমি মুগ্ধ।”