‘এক হাত না থাকলেও দেশের জন্য খেলবে আফগানরা’

আগের ম্যাচে পাওয়া চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি এখনও। ফাইনালে তার মাঠে নামা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসেনি। তবে নিজের ভাবনাটা জানিয়ে রাখলেন রশিদ খান। ১০ ভাগ ফিট হলেও খেলবেন। দেশের জন্য যে কোনো অবস্থায়ই নাকি মাঠে নামতে প্রস্তুত আফগানরা!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2019, 11:42 AM
Updated : 23 Sept 2019, 11:42 AM

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন রশিদ। পরে ফিরে বোলিং করেন। প্রথম ওভারে উইকেটও নেন। কিন্তু নিজের সেরা চেহারায় ছিলেন না। একটু খুঁড়িয়ে বোলিং করছিলেন তিনি। এক ওভারে তাকে তুলোধুনো করেই বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন সাকিব আল হাসান।

ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রশিদ জানালেন, চেষ্টা করছেন চোট কাটিয়ে উঠতে।

“এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় (ফাইনালে খেলা নিয়ে)। আজ ও গতকাল চোট কাটিয়ে উঠতে কাজ করেছি। আশা করি এটি কাজে দেবে। দেখা যাক, অবস্থা কেমন হয়। তারপর আগামীকাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

তবে অনিশ্চয়তাটুকু যে স্রেফ কথার কথা, সেটি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল চোট নিয়ে আফগান অধিনায়কের আরেকটি কথায়। ওই ম্যাচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, তারপরও বোলিং করা জরুরি ছিল কি-না, এই প্রশ্নে রশিদ বুঝিয়ে দিলেন ফাইনালে খেলা নিয়ে তার ভাবনাও।

“ফিজিও ও কোচ চেয়েছিল আমি যেন আর মাঠে না নামি। কিন্তু আমি রাজী হইনি তাতে। আমি নিশ্চিত হতে চাইছিলাম যে চোট কতটা গুরুতর এবং পরের ম্যাচের জন্য উন্নতি সম্ভব কিনা। প্রথম দুই ওভার ভালোই করেছি। পরে ফিল্ডিংয়ে ভুগতে হয়েছে, তাতে অবস্থা খারাপ হয়েছে। তবে এখন মনে করি, ফাইনালের জন্য ঠিক হয়ে যাব।”

তবে ফিট হওয়া, না হওয়া যে আসলে খুব একটা পার্থক্য গড়বে না, সেটিও পরিষ্কার করে দিলেন রশিদ। জানালেন, দেশের জন্য যে কোনো অবস্থায় নিজেদের উজাড় করে দিতে সবসময় প্রস্তুত তারা।

“হয়তো সেদিন আমার বোলিং করা উচিত হয়নি। তবে আমরা যে দেশ থেকে এসেছি, সেখানে আমরা নিজেদের নিয়ে খুব একটা ভাবি না। দেশের জন্য খেলার ব্যাপার হলে, আমরা এক হাত না থাকলেও নিজেদের উজার করে দেব। গত বছর জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আমাদের আসগর আফগান অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারের চার দিন পর মাঠে নেমে গিয়েছিল।”

“তরুণরাও এসব দেখে শিখছে। কালকে যদি আমি ১০ ভাগ ফিটও থাকি, আমি মাঠে নেমে যাব। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং আমার দেশ চায় ম্যাচটি জিততে। নিজের চেয়ে দেশের চাওয়াই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”