ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দেখায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, রশিদ-মুজিব মানের স্পিনারদের সামালোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের স্কিলে ঘাটতি আছে।
মিরপুরে প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মুজিব। মিডল অর্ডারে ছোবল দিয়েছিলেন রশিদ। একই চিত্র ছিল চট্টগ্রামেও। তবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রশিদের এক ওভার থেকে ১৮ রান নিয়ে কিছুটা উন্নতির আভাস দিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
ডমিঙ্গো মনে করেন, খুব দ্রুত রশিদ, মুজিবকে সামলানোর পথ বের করা সম্ভব নয়। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
“ওদের স্পিনারদের বিপক্ষে অনেক ব্যাটসম্যানই ধুঁকে থাকে। মুজিব ও রশিদ এখন স্পিনে অনেক বড় নাম। শুধু আমাদের ব্যাটসম্যানরা নয়, সবারই বিশ্বমানের এই দুই স্পিনারের বিপক্ষে ভোগান্তি হয়।”
“আমরা নেটে চেষ্টা করছি ওদের খেলার উপায় বের করতে। মানসিকতা নিয়ে, পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এসব নিয়ে আসলে কাজ চলছে। রাতারাতি আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় মুজিব ও রশিদ ২৩ রান করে দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট। চট্টগ্রামে দুই স্পিনার ২৭ রান করে দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট। ফাইনালে এই দুই স্পিনার হতে পারেন স্বাগতিকদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।