সাকিব মাস্টারক্লাসে ভাঙল হারের বৃত্ত

ঘুরে দাঁড়িয়ে বোলাররা লক্ষ্যটা রেখেছিলেন হাতের নাগালে। দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর দলকে কক্ষপথে ফেরান সাকিব আল হাসান। ফ্লাড লাইট বিভ্রাটের পর টানা তিন ওভারে উইকেট হারিয়ে কঠিন হয়ে পড়েছিল সমীকরণ। তবে অধিনায়কের অসাধারণ ইনিংসে জয়ের হাসিতে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2019, 12:01 PM
Updated : 21 Sept 2019, 05:05 PM

টানা চার হারের পর ৪ উইকেটের জয়

সমীকরণ বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। দুই ওভার বাকি ছিল রশিদ খানের। আগের দুই ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। তার করা ১৮তম ওভার থেকে ১৮ রান নিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা চার হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। ফাইনালের আগে দুই দলের পোশাকী লড়াইয়ে জিতল ৪ উইকেটে।

১৩৯ রানের লক্ষ্য ৬ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে সাকিবের দল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শেষ করেছে প্রাথমিক পর্ব।

৪৫ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ১২ বলে ১ চারে ১৯ রানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকর এক ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (রহমানউল্লাহ ২৯, জাজাই ৪৭, আসগর ০, নাজিবউল্লাহ ১৪, নবি ৪, নাইব ১, শফিকউল্লাহ ২৩*, জানাত ৩, রশিদ ১১*; সাইফ ৪-০-২৩-১, শফিউল ৪-০-২৪-১, সাকিব ৪-০-২৪-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩১-১, মোসাদ্দেক ১-০-১০-০, আফিফ ৩-১-৯-২)

বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৩৯/৬ (লিটন ৪, শান্ত ৫, সাকিব ৭০*, মুশফিক ২৬. মাহমুদউল্লাহ ৬, সাব্বির ১, আফিফ ২, মোসাদ্দেক ১৯*; মুজিব ৪-০-১৯-১, নাভিন ৪-০-২০-২, জানাত ৩-০-৩১-১, নাইব ২-০-১৬-০, নবি ৩-০-২৪-০, রশিদ ৩-০-২৭-২)

ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সাকিব আল হাসান

রশিদের দ্বিতীয় শিকার আফিফ

ফ্লাড লাইট বিভ্রাটের পর টানা তিন ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। রশিদ খানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন আফিফ হোসেন।

লেগ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল ব্যাটে বলে করতে পারেননি আফিফ। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস।

১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০৫/৬। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৩৪ রান চাই স্বাগতিকদের। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।

দ্রুত ফিরলেন সাব্বির, সাকিবের ফিফটি

আমিনুল ইসলামের চোটে একাদশে ফেরা সাব্বির রহমান সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। অভিষিক্ত পেসার নাভিন-উল-হকের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল কিপারের পাশ দিয়ে গলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সাব্বির। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। ২ বলে ১ রান করেন সাব্বির।

এই ওভারেই ফিফটি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ৩৪ বলে ৭ চারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে তার দুই রানে দলের রান যায় তিন অঙ্কে।

১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০১/৫। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী আফিফ হোসেন।

মাহমুদউল্লাহকে ফেরালেন রশিদ

ফ্লাড লাইট বিভ্রাটে ১২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর দ্রুত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বোলিং করছেন রশিদ। ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে চোটের মতন পেয়েছিলেন। সেটা বেশ ভোগাচ্ছে। তবে এরপরও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিজের প্রথম ওভারে ভুগিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

রশিদের গুগলি লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সহ-অধিনায়ক।

৮ বলে ৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৯৫/৪। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী সাব্বির রহমান।

ফ্লাড লাইট বিভ্রাটে খেলা বন্ধ

ত্রয়োদশ ওভারে আফগানিস্তান রিভিউ নেওয়ার পর থেকে ফ্লাড লাই বিভ্রাটের জন্য খেলা বন্ধ রয়েছে। স্টেডিয়ামের একটি টাওয়ারের সব বাতি নিভে যাওয়ায় খেলার জন্য যথেষ্ট আলো নেই মাঠে।

করিম জানাতের বল সাকিবের প্যাডে লাগলে রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে। আম্পায়ার্স কলের জন্য বেঁচে যান সাকিব।

ছক্কার চেষ্টায় অক্কা মুশফিক

জীবন পাওয়ার পর দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। সরে গিয়েছিল চেপে বসা ফাঁস। ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং ছিল দলের প্রয়োজন। উল্টোটা করলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। প্রয়োজন না থাকলেও বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন।

করিম জানাতের বল পুল করেছিলেন মুশফিক। টাইমিং করতে পারেননি। ২৬ রান করে মিড মিডউইকেটে ধরা পড়েন শফিকউল্লাহর হাতে।

১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭১/৩। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ।

বাজে শটে ক্যাচ দিয়েও বাঁচলেন মুশফিক

রানের গতিতে দম দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। টাইমিং করতে সংগ্রাম করা মুশফিকুর রহিমও চেষ্টা করছেন রানের গতি বাড়াতে। মোহাম্মদ নবিকে ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়েও নাজিব তারাকাইয়ের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি।

সে সময় ১৬ রানে ছিলেন মুশফিক। সেই ওভারেই ৪০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে সাকিবের সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটির রান।

১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/২। এ পর্যন্ত বাউন্ডারি এসেছে পাঁচটি। সব কটি এসেছে ৩১ রান করা সাকিবের ব্যাট থেকে। মুশফিক খেলছেন ১৯ রান নিয়ে।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ২ উইকেট

পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সময়ে হারিয়েছে দুই ওপেনারকে। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম লড়াই করছেন দলকে কক্ষপথে ফেরাতে।

৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৮/২. সিরিজে পাওয়ার প্লেতে যা সর্বনিম্ন।

এই সময়ে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র দুটি। পাওয়ার প্লের শেষ দুই বলে করিম জানাতকে দুটি চার হাঁকান সাকিব। অধিনায়ক ব্যাট করছেন ১৪ রানে। মুশফিক খেলছেন ৩ রানে।

টিকলেন না শান্তও

মাঝারি রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। চার ওভারের মধ্যে হারিয়ে ফেললো দুই ওপেনারকে। অভিষিক্ত পেসার নাভিন-উল-হকের স্লোয়ারে মিডউইকেটে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন শান্ত।

৮ বলে ৫ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সেই ওভারেই কঠিন ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সাকিব আল হাসান।

৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫/২। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকদের ইনিংসে এখন পর্যন্ত হয়নি কোনো বাউন্ডারি।

আবারও মুজিবের শিকার লিটন

আবারও মুজিব উর রহমানের বলে আউট হলেন লিটন দাস। তৃতীয় ওভারে ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।

দুই দলের প্রথম দেখায় মুজিবকে ওড়ানোর চেষ্টায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফিরেছিলেন লিটন। এবার আউট হলেন এই অফ স্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে। জায়গা করে নিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে আসগর আফগানের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি ওপেনার।

১০ বলে ৪ রান করেন লিটন। ৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১২/১। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

লক্ষ্য নাগালে রাখল বাংলাদেশ

হজরতউল্লাহ জাজাই ঝড়ে শুরুটা ভালো করেছিল আফগানিস্তান। ৯.২ ওভারে দুই ওপেনার তুলেছিলেন ৭৫ রান। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখে নাগালে। শেষ ১০.৪ ওভারে সফরকারীরা তুলতে পারে কেবল ৬৩ রান।

২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করেছে আফগানিস্তান। শুরুর জুটিতে দলটি যত বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তার তুলনায় অনেক ছোট লক্ষ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (রহমানউল্লাহ ২৯, জাজাই ৪৭, আসগর ০, নাজিবউল্লাহ ১৪, নবি ৪, নাইব ১, শফিকউল্লাহ ২৩*, জানাত ৩, রশিদ ১১*; সাইফ ৪-০-২৩-১, শফিউল ৪-০-২৪-১, সাকিব ৪-০-২৪-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩১-১, মোসাদ্দেক ১-০-১০-০, আফিফ ৩-১-৯-২)

জানাতকে ফেরালেন শফিউল

দারুণ বোলিং করা শফিউল ইসলাম পেলেন উইকেট। ফিরিয়ে দিলেন করিম জানাতকে।

শর্ট বল লেগে ওড়াতে চেয়েছিলেন জানাত। টাইমিং করতে পারেননি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ মুঠোয় জমান মুস্তাফিজুর রহমান।

১৭ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ১১৪/৭। ক্রিজে শফিকউল্লাহর সঙ্গী রশিদ খান।

সাইফের দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড নাজিবউল্লাহ

বোলিংয়ে ফিরেই আঘাত হেনেছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করে দিয়েছেন বিপজ্জনক নাজিবউল্লাহ জাদরানকে।

বড় শট খেলার সামর্থ্য আছে নাজিবউল্লাহর। তাকে এবার ঝড় তুলতে দিলেন না সাইফ। নিখুঁত ইয়র্কারে এলোমেলো করে দিলেন স্টাম্পস।

১৬ বলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন নাজিবউল্লাহ। ১৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ১১০/৬। ক্রিজে শফিকউল্লাহর সঙ্গী করিম জানাত।

আফগানিস্তানের একশ

৪১ বলে বিনা উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল আফগানিস্তানের স্কোর। সফরকারীরা তাদের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে গেছে ৮৭ বলে। তবে ৫০ থেকে একশ পর্যন্ত যেতে হারিয়ে ফেলেছে ৫ উইকেট।

১৫ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ১০৭/৫। নাজিউল্লাহ জাদরান ১৩ ও শফিকউল্লাহ ৭ রানে ব্যাট করছেন।

রান আউট নাইব

শুরুতে একটা ক্যাচ ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেটা কিছুটা যেন পুষিয়ে দিলেন দারুণ এক ফিল্ডিং। রান আউট করে বিদায় করলেন গুলবাদিন নাইবকে।

আফিফ হোসেনের বল পয়েন্টে খেলেই রানের জন্য ছুটেছিলেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। সাড়া দেন নাইব। তবে তৎপর মাহমুদউল্লাহ ছুটে গিয়ে দ্রুত বল থ্রো করেন। বাকিটা সারেন মুশফিকুর রহিম।

১ বলে ১ রান করেন নাইব। ১৪ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৯৬/৫। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী শফিকউল্লাহ।

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ৩৫০তম শিকার নবি

টি-টোয়েন্টি সফল বোলারদের একজন সাকিব আল হাসান। মোহাম্মদ নবিকে এলবিডব্লিউ করে নিজের সাড়ে তিনশতম উইকেট নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

ওভারের প্রথম বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন নবি। একটুর জন্য ক্যাচ নিতে পারেননি সাকিব। চতুর্থ বলে পেয়ে যান উইকেট। ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি নবি। পার্টনারের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান তিনি।

১৩ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৯০/৪। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী গুলবাদিন নাইব।

মুস্তাফিজের শিকার রহমানউল্লাহ

শুরুতে জীবন পাওয়ার পর শট খেলতে শুরু করেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে ভুগছিলেন টাইমিং পেতে। তার সংগ্রাম শেষ হলো মুস্তাফিজুর রহমানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।

বাঁহাতি বোলারের লেংথ বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ। ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় সহজ ক্যাচ। ২৭ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ রান করেন রহমানউল্লাহ।

১১ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৮৮/৩। ক্রিজে নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গী মোহাম্মদ নবি।

আফিফের দ্বিতীয় আঘাত

সিরিজে প্রথমবারের মতো বল হাতে নিয়েই ওভারে কোনো রান না দিয়ে জোড়া উইকেট নিলেন আফিফ হোসেন। হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের পর ফিরিয়ে দিলেন আসগর আফগানকে।

বেরিয়ে এসে আফিফকে ওড়াতে চেয়েছিলেন আসগর। টাইমিং করতে পারেননি। বেশ উপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান নাজমুল হোসেন শান্ত।

২ বলে শূন্য রানে ফিরেন আসগর। আফিফের জোড়া উইকেট নেওয়া ওভারটি ছিল মেডেন।

১০ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৭৫/২। ক্রিজে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গী নাজিবউল্লাহ জাদরান।

জাজাই ঝড় থামালেন আফিফ

আগের তিন ম্যাচে বোলিং পাননি আফিফ হোসেন। এবার বোলিং পেয়ে প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন। ফিরিয়ে দিলেন ঝড় তোলা হজরতউল্লাহ জাজাইকে।

আফিফের প্রথম দুটি বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। কোনোটিই ব্যাটে-বলে করতে পারেননি জাজাই। পরের বলটি সুইপ করে ওড়াতে চেয়েছিলেন আফগান ওপেনার। টার্ন আর বাউন্সের জন্য টাইমিং করতে পারেননি। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মুস্তাফিজুর রহমান। ভাঙে ৭৫ রানের জুটি।

৩৫ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রান করেন জাজাই।

শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ

ঝড় তুলেছেন হজরতউল্লাহ জাজাই। নড়বড়ে শুরুর পর শট খেলতে শুরু করেছেন রহমানউল্লাহ। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে আফগানিস্তান।

শুরুর জুটিতে ৪১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে সফরকারীদের সংগ্রহ। একজন বোলার কম নিয়ে খেলা বাংলাদেশ বাধ দিতে পারছে না রানের গতিতে।

৭ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৫১/০। জাজাই ৩৩ ও রহমানউল্লাহ ১৫ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান ৪২/০

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ৪২/০। জাজাই ৩২ ও রহমানউল্লাহ ৮ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুতে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ। তাকে জীবন দেওয়া মাহমুদউল্লাহ ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে দেন ১৬ রান।

রহমানউল্লাহকে জীবন দিলেন মাহমুদউল্লাহ

প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন শফিউল ইসলাম। তার বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

শফিউলের আউট সুইং ঠিক মতো খেলতে পারেননি গুরবাজ। ফাইন লেগে ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। সে সময় ১ রানে ছিলেন আফগান ওপেনার।

২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৮/০। হজরতউল্লাহ জাজাই ৫ ও রহমানউল্লাহ ২ রানে ব্যাট করছেন।

আফগানিস্তান দলে দুই পরিবর্তন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে দুটি পরিবর্বতন এনেছে আফগানিস্তান। অভিষেক হচ্ছে নাভিন-উল-হকের। দলে ফিরেছেন করিম জানাত। বাদ পড়েছেন ফজল নিয়াজাই ও দৌলত জাদরান।

আফগানিস্তান: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, শফিকউল্লাহ, আসগর আফগান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, নাভিন-উল-হক, মুজিব উর রহমান।

চোটে ছিটকে গেলেন আমিনুল

চোটের জন্য ছিটকে গেছেন আমিনুল ইসলাম। তরুণ লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের জায়গায় একজন ব্যাটসম্যান নিয়েছে বাংলাদেশ। ফিরেছেন সাব্বির রহমান।

আগের ম্যাচে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। এক ম্যাচ পরেই আবার চার বোলারে ফিরে গেছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ: সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটস দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, সাব্বির রহমান।
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, মেঘলা আকাশ, রাতে শিশিরের প্রভাব সব কিছু বিবেচনা করা বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাকিবের আশা শুরুতে উইকেটে থাকা সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন বাংলাদেশের পেসাররা। আগে কিংবা পরে ব্যাটিং নিয়ে ভাবছেন না রশিদ খান। আফগানিস্তান অধিনায়ক জানান, তার দল সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার লক্ষ্যে বাংলাদেশ

মুখোমুখি হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেই চলেছে তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে প্রাথমিক পর্বের সবশেষ ম্যাচে রশিদ খানদের বিপক্ষে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে প্রত্যয়ী সাকিব আল হাসানের দল।  

ফাইনালের পোশাকী মহড়ার ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।

গত বছর দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই দলের প্রথম দেখায় রশিদের দলের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি তারা। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেওয়া দলটি ফাইনালে যেতে চায় জয়ের অভ্যাস ধরে রেখে।