‘আমরা কেউ গেইল বা রাসেল নই’

শুরুটা হলো দুর্দান্ত। সাময়িক ঝটকা কাটিয়ে মাঝেও গতিময় ইনিংসের পথচলা। কিন্তু শেষে গিয়ে সেই পুরোনো মন্থরতা। দলের মোটামুটি ভালো স্কোরের ম্যাচেও আক্ষেপ থেকে গেল ইনিংসের শেষটা প্রত্যাশিত না হওয়ায়। যার ইনিংস ছিল দলের ইনিংসের মেরুদণ্ড, সেই মাহমুদউল্লাহ ম্যাচ শেষে তুলে ধরলেন বাস্তবতা। বাংলাদেশে তো ক্যারিবিয়ানদের মতো পেশি শক্তির ব্যাটসম্যান নেই!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 08:08 PM
Updated : 18 Sept 2019, 08:31 PM

বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ১৩৪। বেশির ভাগ দলই সেখান থেকে আশা করবে ৫ ওভারে অন্তত ৫০ রান করতে। কিন্তু ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৫ ওভার শুরু করেও বাংলাদেশ তুলতে পারে ৪১ রান। খুব কম হয়তো নয়, তবে শেষ দিকে ওভারপ্রতি ৮ রান খুব বেশিও নয়।

৪১ বলে ৬২ রান করা মাহমুদউল্লাহ নিজে আউট হয়েছেন ফুলটস বলে। পরের বলেই ফুলটসে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই ম্যাচেই প্রথম নয়, এরকম ফুলটস বা হাফভলি কিংবা লেংথ বলে অনেক সময়ই সীমানা ছাড়া করতে পারেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

দায়টা মেনেই নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। আগেও অনেকবার যে কথাটি বলেছেন তিনি বা দলের অন্যরা, সেটিই বললেন আবার। স্কিল দিয়ে পুষিয়ে দিতে হবে পেশির দুর্বলতা।

“আমার মনে হয়, আমরা পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে স্কিল হিটিংয়ে অনেক বেশি পারদর্শী। যখন আমরা সেট থাকি, তখন আমরা আমাদের পাওয়ারটা কাজে লাগাতে পারি। তবে আমরা ক্রিস গেইল কিংবা আন্দ্রে রাসেল নই। আমাদের স্কিল হিটিংয়ের উপরই বেশি ফোকাস থাকে।”

“আজকে আমি কয়েকটা ফুলটস বল মিস করেছি। একটাতে আউট হলাম, আরেকটা মিস করেছি। আরও ২-১ জন এমন মিস করেছে। আমার মনে হয় ফুলটস বল মুশফিকই সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে। এই জিনিসগুলো হয়তোবা ওয়ার্কআউট করতে হবে, স্কিল হিটিংয়ের চেয়ে পাওয়ার হিটিং কিভাবে আরও বাড়ানো যায়। ব্যাটিং কোচের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলাটা ভালো।”