ফাইনালে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান
জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। সেখানে তাদের সঙ্গী আফগানিস্তান।
ত্রয়োদশ ওভারে ৬৬ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষের দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান রিচমন্ড মুতুমবামি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ১১, লিটন ৩৮, সাকিব ১০, মুশফিক ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২, সাইফ ৬*, আমিনুল ০*; এনডিলোভু ৩-০-৩২-০, জার্ভিস ৪-০-৩২-৩, এমপোফু ৪-০-৪২-২, উইলিয়ামস ৪-০-২৬-০, বার্ল ১-০-১৩-১, মাতুমবদজি ৩-০-১৭-১, মাদজিভা ১-০-১০-০)
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩৬ (টেইলর ০, মাসাকাদজা ২৫, চাকাভা ০, উইলিয়ামস ২, মাতুমবদজি ১১, বার্ল ১, মুতুমবামি ৫৪, মাদজিভা ৯, জার্ভিস, এনডিলোভু ২, এমপোফু ০*; সাইফ ৪-০-১৪-১, সাকিব ৪-০-২৮-১, শফিউল ৪-০-৩৬-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৮-২, আমিনুল ৪-০-১৮-২)
ফল: বাংলাদেশ ৩৯ রানে জয়ী
মুস্তাফিজের ৫০তম শিকার জার্ভিস
বোলিংয়ে দিনটা খুব একটা ভালো যায়নি মুস্তাফিজুর রহমানের। যখনই এসেছেন রান দিয়েছেন। তবে শেষটা ভালো করলেন বাঁহাতি এই পেসার। কাইল জার্ভিসকে ফিরিয়ে নিলেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম উইকেট।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই সংস্করণে ৫০ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ। পরের বলে আইনস্লে এনডিলোভুকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে ১৩৬ রানে গুটিয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
মুতুমবামিকে থামালেন শফিউল
উইকেট পেতে পারতেন নতুন ওভারের প্রথম বলে। একটুর জন্য শর্ট থার্ড ম্যানের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় বল। বাউন্ডারি পেয়ে যান রিচমন্ড মুতুমবামি। শফিউল ইসলামের পরের বলটি ছিল স্লোয়ার। এবার শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন মুতুমবামি। ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।
৩২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৪ রান করেন মুতুমবামি। ১৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৩৫/৮। ক্রিজে কাইল জার্ভিসের সঙ্গী আইনস্লে এনডিলোভু।
মুতুমবামি-জার্ভিসের ফিফটি জুটি
অষ্টম উইকেটে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির দেখা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন রিচমন্ড মুতুমবামি ও কাইল জার্ভিস। ২৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছে তাদের জুটির রান।
জুটিতে বড় অবদান মুতুমবামির। তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৩০ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২০/৭। মুতুমবামি ৫০ ও জার্ভিস ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
রান আউট মাদজিভা
দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝিতে বিপদ বাড়লো জিম্বাবুয়ের। রান আউট হয়ে গেলেন নেভিল মাদজিভা।
বল খেলেই রানের জন্য ছুটেছিলেন মাদজিভা। সারাও দিয়েছিলেন নন স্ট্রাইকার রিচমন্ড মুতুমবামি। কিছুটা এগিয়ে পিছিয়ে যান তিনি। তখন আর ফেরার সময় ছিল না মাদজিভার। সাকিবের থ্রো ধরে মুশফিকুর রহিম স্টাম্পস ভাঙার সময় বেশ দূরে ছিলেন মাদজিভা।
১৫ বলে ৯ রান করেন তিনি। ১৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৭০/৭। ক্রিজে রিচমন্ড মুতুমবামির সঙ্গী কাইল জার্ভিস।
মাসাকাদজাকে থামালেন আমিনুল
একজনের ক্যারিয়ার শেষের দুয়ারে, আরেকজনের শুরু। দুই জনের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন আমিনুল ইসলাম। এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে।
স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ব্যাট-বলে করতে পারেননি। তরুণ লেগ স্পিনারের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার।
২৫ বলে তিন চারে ২৫ রান করেন মাসাকাদজা। ৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪৭/৬। ক্রিজে রিচমন্ড মুতুমবামির সঙ্গী নেভিল মাদজিভা।
দলে ফেরা শফিউল ইসলাম উইকেট পেলেন নিজের দ্বিতীয় ওভারেও। বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন আগের দেখায় স্বাগতিকদের ভোগানো রায়ান বার্লকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি বার্ল। ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে।
৩ বলে ১ রান করে ফিরেন বার্ল। ৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪১/৫। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী রিচমন্ড মুতুমবামি।
প্রথম ওভারেই আমিনুলের উইকেট
কদিন আগে নিজের প্রথম বলে উইকেট পেয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এবার আমিনুল ইসলাম উইকেট পেলেন তৃতীয় বলে। ফিরিয়ে দিলেন টিনোটেন্ডা মাতুমবদজিকে।
লং অফ দিয়ে তরুণ লেগ স্পিনারকে ওড়াতে চেয়েছিলেন মাতুমবদজি। টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় চমৎকার ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৯ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করেন মাতুবদজি। ৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৭/৪। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী রায়ান বার্ল।
দলে ফিরে প্রথম বলেই শফিউলের উইকেট
প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট পেলেন শফিউল ইসলাম। ফিরিয়ে দিলেন শন উইলিয়ামসকে।
শর্ট বল পুল করে ওড়াতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। টাইমিং করতে পারেননি। মিডউইকেটে ক্যাচ মুঠোয় জমান আফিফ হোসেন।
৫ বলে ২ রান করেন উইলিয়ামস। ৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬/৩। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী টিনোটেন্ডা মুতুমবদজি।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের মতো প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে লড়াকু এক ইনিংস খেলা রেজিস চাকাভাকে শূন্য রানে ফেরালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বেরিয়ে এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে বাঁহাতি স্পিনারকে খেলতে চেয়েছিলেন চাকাভা। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল আঘাত হাতে মিডল স্টাম্পে।
২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩/২। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী শন উইলিয়ামস।
আবারও প্রথম ওভারে সাইফের আঘাত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাচের প্রথম বলে। প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার অভ্যাস ধরে রেখেছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উইকেট পেলেন ইনিংসের পঞ্চম বলে।
লেংথ বল ওড়াতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অফে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান সাকিব আল হাসান।
১ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১/১। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী রেজিস চাকাভা।
শুরুতে ঝড় তুললেন লিটন দাস। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে মাঝপথে দলকে টানলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষটায় নিয়মিত উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ১১, লিটন ৩৮, সাকিব ১০, মুশফিক ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২, সাইফ ৬*, আমিনুল ০*; এনডিলোভু ৩-০-৩২-০, জার্ভিস ৪-০-৩২-৩, এমপোফু ৪-০-৪২-২, উইলিয়ামস ৪-০-২৬-০, বার্ল ১-০-১৩-১, মাতুমবদজি ৩-০-১৭-১, মাদজিভা ১-০-১০-০)
ফুলটসে ফিরলেন মোসাদ্দেকও
পরপর দুই বলে উইকেট পেলেন কাইল জার্ভিস। দুটি ফুল টসে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন।
সীমানায় রেজিস চাকাবভার হাতে ধরা পড়েন মোসাদ্দেক। ৩ বলে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ২ রান।
ফুলটসে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
ফুলটস বলে টাইমিং করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ঝড় তুলে ফিরলেন অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৪১ বলে পাঁচ ছক্কা ও ১ চারে ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
দ্রুত ফিরলেন আফিফ
যে সময় নেমেছেন তখন প্রতি বলই মারতে হবে। মারার চেষ্টাতেই ছিলেন আফিফ হোসেন। খুব একটা টাইমিং পাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরে গেলেন কট বিহাইন্ড হয়ে।
ক্রিস এমপোফুর স্লোয়ার বুঝতে পারেননি আফিফ। জায়গা করে নিয়ে মারার চেষ্টায় ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৫/৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
ছক্কায় মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই হাঁকিয়েছিলেন ছক্কা। এরপর একটু শান্ত ছিলেন। পরে আবার শট খেলতে শুরু করেছেন। ঝড় তুলে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
৩৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ছক্কা ও একটি চার।
দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই কিপার ব্যাটসম্যান ধরা পড়লেন ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে।
রিচমন্ড মুতুমবদজিকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গ্লাভসে জমান টেইলর। ভাঙে ৭৮ রানের জুটি।
২৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করেন মুশফিক। ১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৬/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ফিফটি জুটি
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন ইনিংসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
৩৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে দুই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জুটির রান।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১২১/৩। মুশফিক ২২ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর রানের রানের গতি একটু কমেছে বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করছেন ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে।
দ্বাদশ ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। ১২ ওভারে দলটির স্কোর ১০২/৩। মুশফিক ২০ ও মাহমুদউল্লাহ ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
আলগা শটে সাকিবের বিদায়
লিটন দাসের ব্যাটে পাওয়া ভালো শুরুর সুবিধা হারাতে বসেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনাররের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
রায়ান বার্লের বলটি আহামরি কিছু ছিল না। মারতে চাইলে ছক্কাই মারতে পারতেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক স্রেফ বল তুলে দিলেন লং অফের ফিল্ডারের হাতে। যেন ক্যাচ ধরার অনুশীলন করালেন ফিল্ডার শন উইলিয়ামসকে।
ক্রিজে গিয়ে প্রথম তেমনই একটা বলে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। ঠিক যেভাবে আগের বলটি খেলা দরকার ছিল সাকিবের।
৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬/৩। মুশফিকুর রহিম ৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে ব্যাট করছেন।
ঝড় তুলে ফিরলেন লিটন
আগের দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার হারালো দুটি। নাজমুল হোসেন শান্তর পর বিদায় নিলেন লিটন দাস।
ঝড় তুলেছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। আউটও হন বোলারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে। ক্রিস এমপোফুকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে নেভিল মাদজিভার অসাধারণ এক ক্যাচে ফিরেন লিটন। ২২ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে ৩৮ রান করেন তিনি।
৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫৫/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
এক প্রান্তে ঝড় তুলেছেন লিটন দাস। অন্য প্রান্তে রানের তেমন চাপ নেই। তারপরও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত।
কাইল জার্ভিসের অফ কাটার বুঝতে পারেননি এই ওপেনার। শট খেলে ফেলেন আগেভাগেই। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান বোলার। ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।
৯ বলে ১১ রান করেন শান্ত। ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/১। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
লিটনের ব্যাটে ঝড়
প্রথম ওভারে আইন্সলে এনডিলোভুর প্রথম পাঁচ বল থেকে কেবল একটি সিঙ্গেল নিতে পেরেছিলেন লিটন দাস। তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম চার বল থেকে তুলে নেন ১৯ রান। লং অফ দিয়ে হাঁকান দুটি ছক্কা, লং অন দিয়ে একটি চার। চতুর্থ বলে ফাইন লেগ দিয়ে পেয়ে যান তিন রান।
এর আগের ওভারে কাইল জার্ভিসকে হাঁকান দুটি চার।
৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩২/০। ১৫ বলে লিটনের রান ৩০। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ বলে ২ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ওভারেই রিভিউ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাঁহাতি স্পিনার আইন্সলে এনডিলোভুর বলে লিটন দাসের এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।
১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২/০। লিটন ১ ও অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত ১ রানে ব্যাট করছেন।
জিম্বাবুয়ে দলে দুই পরিবর্তন
দুটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। দলে জায়গা হারিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন ও টেন্ডাই চাতারা। একাদশে ফিরেছেন রিচমন্ড মুটুমবামি ও ক্রিস এমপোফু।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেইলর, রিচমন্ড মুতুমবামি, শন উইলিয়ামস, টিনোটেন্ডা মাতুমবদজি, রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, নেভিল মাদজিভা, কাইল জার্ভিস, আইন্সলে এনডিলোভু, ক্রিস এমপোফু। |
সৌম্য সরকার স্কোয়াডেই না থাকায় একটি পরিবর্তন আনতেই হতো। বাংলাদেশ এনেছে তিনটি পরিবর্তন। অভিষেক হচ্ছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের। দলে ফিরেছেন পেসার শফিউল ইসলাম।
একাদশে জায়গা হারিয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটস দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। |
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
রাউন্ড রবিন লিগের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করেন, আগে ব্যাটিং পাওয়ায় ভালোই হয়েছে। রান তাড়ার চাপ না থাকায় দুর্ভাবনা ছাড়াই ব্যাটিং করতে পারবেন তারা।
অসাধারণ এক ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। পরের ম্যাচে একটা সময় পর্যন্ত ভালো অবস্থানে থাকলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। এবার আবারও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, জিতলেই সাকিব আল হাসানের দল পৌঁছে যাবে ফাইনালে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।
র্যাঙ্কিং, শক্তি-সামর্থ্য আর ক্রিকেটীয় বাস্তবতায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় খুবই প্রত্যাশিত। তবে প্রত্যাশা মানেই যে নিশ্চয়তা নয়, সেটির খানিকটা প্রমাণ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দেখা গেছে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে অধিনায়ক সাকিব ম্যাচের পর বলেছিলেন, ঘাটতি আছে দলের স্কিলে ও মানসিকতায়। টুর্নামেন্ট চলার পথে, এত দ্রুত সেই ঘাটতি কিভাবে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব?
জিম্বাবুয়ের বাঁচা-মরার ম্যাচ
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে ফাইনালে ওঠার আশা ফিকে হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের। তবে আগের দুই ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর উপকরণ খুঁজে পাচ্ছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে যেমন প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তারা পেরে ওঠেনি আফিফ হোসেনের পাল্টা আক্রমণে। পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকেও তারা চাপে রাখতে পেরেছিল একটা পর্যায় পর্যন্ত। চতুর্দশ ওভারে আফগানদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯০। সেখান থেকে নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবির ব্যাটিং তান্ডবে ধরাছোঁয়ার প্রায় বাইরে চলে যায় আফগানরা।
শন উইলিয়ামস তাই মনে করেন ছোট ছোট কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করতে পারলেই ধরা দেবে জয়। টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে জিম্বাবুয়ে।