টুর্নামেন্টের ধরনই এমন যে ফাইনালে উঠতে খুব ধারাবাহিক হতে হবে না। একটি করে জয়-হারের পরও তাই বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে যেতে পারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে বুধবার জিম্বাবুয়েকে হারালেই চলবে।
ফাইনালে উঠলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের যাবতীয় সমস্যা শেষ হয়ে যাবে না অবশ্যই, সাম্প্রতিক দুঃসময়ের মেঘও কাটবে না। তবে ক্রিকেটারদের হারানো বিশ্বাস একটু হলেও ফিরবে। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুক্ত মানসিকতায় খেলা যাবে। নিজেদের সেরাটা ফিরে পাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
র্যাঙ্কিং, শক্তি-সামর্থ্য আর ক্রিকেটীয় বাস্তবতায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় খুবই প্রত্যাশিত। তবে প্রত্যাশা মানেই যে নিশ্চয়তা নয়, সেটির খানিকটা প্রমাণ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দেখা গেছে।
তেমন ইনিংস প্রতিদিন হবে না। জিম্বাবুয়ে তাই আশা করতেই পারে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা ব্যাটিং অর্ডারের মাথাতেই। দুই ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যর্থ ভীষণভাবে। দুটিতেই পাওয়ার প্লেতে পড়েছে ৪টি করে উইকেট।
চট্টগ্রাম পর্বের জন্য তাই দলে পরিবর্তন আনা হয়েছে পাঁচটি। সেখানে ব্যাটসম্যান আছেন দুজন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুধবার টপ অর্ডারে নাঈম শেখের অভিষেক হয়ে গেলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগের ম্যাচের পর বলেছিলেন, ঘাটতি আছে দলের স্কিলে ও মানসিকতায়। টুর্নামেন্ট চলার পথে, এত দ্রুত সেই ঘাটতি কিভাবে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব?
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বললেন, ছোট ছোট কিছু দিক ঠিক করলেই বড় সমস্যার সমাধান হবে।
জিম্বাবুয়ে দলও জানে, মাঠের ক্রিকেট ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা মিলিয়ে বাংলাদেশ বেশ চাপে আছে। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস জানালেন, সেটিকে কাজে লাগাতে চায় তার দল। তারা নিজেরাও যদিও খুব ভালো অবস্থায় নেই, তবে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা তাদের উজ্জীবিত করতে পারে দারুণ কিছু করতে।
চট্টগ্রামের উইকেটে এমনিতে পেসারদের জন্য নতুন বলে কিছুটা সহায়তা মেলে। বিশেষ করে কৃত্রিম আলোয়। সেই ভাবনা থেকেই দলে যোগ করা হয়েছে দুই অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামকে। সুযোগ কতটা মিলবে তাদের, সেটি নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে।
তবে একটি ব্যাপার নিয়ে সংশয় নেই, ফাইনালে ওঠার জন্য নয়, দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক বাস্তবতা বিবেচনায়ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ভীষণ জরুরি। না পারলে শুধু ফাইনালের ছবিই অস্পষ্ট হবে না, দেশের ক্রিকেটের সামনের চলার পথও হয়ে উঠবে আরও ঘোলাটে।