চাপে থাকা বাংলাদেশকে চেপে ধরতে চায় জিম্বাবুয়ে

মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অবস্থা জেরবার। সেই তারাও সুযোগ নিতে চাইছে বাংলাদেশের বিপর্যস্ত অবস্থার। মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশের চলছে দুঃসময়। চাপে থাকা দলকে হারিয়ে তাই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চায় জিম্বাবুয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2019, 10:06 AM
Updated : 17 Sept 2019, 03:50 PM

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে বুধবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে জিম্বাবুয়েকে।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ জিতে গিয়েছিল তরুণ আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ইনিংসে। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ে হেরেছে আফগানদের কাছে।

প্রথম ম্যাচে কোনোরকমে জয় পাওয়া বাংলাদেশ পরের ম্যাচে পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তানের কাছে। গত কিছুদিন ধরে চলা দুঃসময় দীর্ঘায়িত হয়েছে আরও। আফগানদের কাছে হারার পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন ক্রিটেকীয় ও মানসিক স্কিলে দলের ঘাটতি থাকার কথা। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকের কথাবার্তা অনেকটাই ছন্নছাড়া। চট্টগ্রাম পর্বের জন্য দলে পরিবর্তন আনা হয়েছে বেশ কিছু।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে অস্থিরতা। জিম্বাবুয়ে এটিকে সুযোগ হিসেবেই দেখছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস অবশ্য বললেন, সুযোগ কাজে লাগাতে তাদেরও নিজেদের কাজটা করতে হবে ঠিকঠাক।

“আমরা যদি নিজেদের কাজ মন দিয়ে করতে পারি, বাকি সব আপনাআপনি ঠিক হবে। আমরা জানি, ওরা চাপে আছে। কিন্তু আমাদের মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে হবে।”

এমনিতে অবশ্য বাংলাদেশ দলকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের সমীহের শেষ নেই। সময় বিরুদ্ধ হলেও দলটার সামর্থ্য যে দারুণ, এটা জানেন উইলিয়ামস। তাই আগে নিজেরা খেলতে চান সামর্থ্য অনুযায়ী।

“বাংলাদেশ খুব ভালো অলরাউন্ড দল। তাদের অবকাঠামো খুব ভালো, যেটি ছড়িয়ে ক্লাব পর্যায় পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আগেই বলেছি, সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো পার্থক্য গড়ে দেয়। ওদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশি… ওরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। সেটিকে আমরা সমীহ করি। আমরা নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে চাই, নিজেদের কাজগুলি করতে চাই নিজেদের জন্য।”