এখনও বোঝার চেষ্টা করছেন ডমিঙ্গো

নামের পাশ থেকে নতুনের রেশ মুছে যায়নি এখনও। নতুন পরিবেশে, নতুন দায়িত্বে সবকিছু বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন রাসেল ডমিঙ্গো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের আগে বাংলাদেশ কোচ বলেছিলেন, আপাতত তিনি থাকছেন পর্যেবক্ষকের ভূমিকায়। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেও নতুন কোচ বললেন, তিনি এখনও চেষ্টা করছেন সবকিছু বুঝে উঠতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 03:42 PM
Updated : 12 Sept 2019, 04:35 PM

নতুন দায়িত্বে আসার পর দলকে নিয়ে খুব বেশি কাজ করার সুযোগ পাননি ডমিঙ্গো। তার আগেই নামতে হয়েছে মাঠের লড়াইয়ে। সেটিতেও নতুন কোচকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হেরেছে ২২৪ রানে।

টেস্ট ম্যাচের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার খুব বেশি সময়ও মেলেনি। শুরু হয়ে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টির লড়াই।

ডমিঙ্গো জানালেন, তার ভূমিকা এখনও খুব একটা বদলায়নি। পর্যবেক্ষকের ভূমিকাতেই থাকছেন এখনও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন জানালেন, চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবকিছু বুঝে উঠতে।

“ড্রেসিং রুমে মাত্রই তিন জন নতুন ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আমার, যাদের আগে কখনোই দেখিনি। ১০ মিনিট আগে যাদের সঙ্গে পরিচয় হলো, তাদেরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, এটা বোঝা কঠিন। তো এই ধরনের চ্যালেঞ্জ আপাতত সামলাতে হচ্ছে আমাকে।”

“তবে এখানে আসার পর তিন সপ্তাহ দারুণ কেটেছে। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে ও ক্রমাগত উন্নতির চেষ্টা করছে। টেস্টে যদিও পারফরম্যান্স ভালো হয়নি, তবে এই ছেলেদের ওপর আমার আস্থা তৈরি হয়েছে। দারুণ কিছু তরুণ ও সিনিয়র ক্রিকেটার আছে এই দলে এবং তাদেরকে যদি ঠিকভাবে সামলানো যায় ও কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়, পারফরম্যান্সে উন্নতি না হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না আমি।”

ডমিঙ্গো জানালেন, ক্রিকেটাররা যেমন শিখছেন, কোচ হিসেবেও তিনিও চেষ্টা করছেন শিখতে। চেষ্টা করছেন ক্রিকেটাদের আরও ভালোভাবে বুঝে উঠতে। তার আশা, পার্থক্য গড়তে পারবেন সামনেই।

“ক্রিকেটাররা যেমন সবসময় উন্নতির চেষ্টা করছে, কোচদের জন্যও ব্যাপারটি একই। কোচদেরও উন্নতির সুযোগ সবসময় আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্য্যাচের এই পাঁচ-ছয় দিনে আমি অনেক শিখেছি। গত তিন সপ্তাহেই আমি অনেক শিখেছি। ছেলেরা কিভাবে খেলে, চাপের মুহূর্তগুলোয় কিভাবে সাড়া দেয়, খুব ভালোভাবে এসব জানতে পেরেছি আমি। আশা করি, এখন থেকে পার্থক্য গড়তে পারব।”