বাংলাদেশ ও টি-টোয়েন্টি বলেই আশায় জিম্বাবুয়ে

আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে টালমাটাল অবস্থা। নানা বিতর্কে জেরবার দল। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ফুটিয়ে তুলছে পারফরম্যান্সের চিত্র। সবকিছু মিলিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আশার জায়গা খুব বেশি থাকার কথা নয় দলটির। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার তবু আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। কারণ, খেলা বাংলাদেশে আর সংস্করণ টি-টোয়েন্টি!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 12:37 PM
Updated : 12 Sept 2019, 04:36 PM

বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের লড়াই দিয়ে শুক্রবার শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের সমীকরণ বলছে, এখানে আন্ডারডগ জিস্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে ১৪ নম্বরে। স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমনকি নেপালও জিম্বাবুয়ের ওপরে। বাংলাদেশ আছে দশে, আফগানিস্তান সাতে।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে এখনও। অনিশ্চয়তায় ক্রিকেটাররা। সলোমন মিরে অবসর নিয়েছেন। মাসাকাদজাও অবসরে যাচ্ছেন এই সিরিজ শেষে। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে জায়গা পাননি অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ে দল একটু ছন্নছাড়া।

তবে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি রেকর্ড তাদের খারাপ নয়। ১০ ম্যাচে জয়-হার সমান ৫টি করে। বাংলাদেশে সবশেষ (২০১৬ সালে) দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে তারাই।

এই রেকর্ডই জিম্বাবুয়ের আত্মবিশ্বাসের জ্বালানী, টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন বললেন মাসাকাদজা।

“প্রতিপক্ষ দুই দলই শক্তিশালী। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান খুব ভালো করছে। বাংলাদেশ তো দেশের মাটিতে খেলবে। তবে এখানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের সাফল্য আছে বেশ। বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো করেছি। আমার মনে হয় না, তাদের চেয়ে আমরা খুব পিছিয়ে আছি।”

টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ধরনটিই এমন যে শক্তি-সামর্থ্যের ব্যবধান কমিয়ে আনে। দু-একজনই এখানে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। মাসাকাদজা আশা দেখছেন এই কারণেও।

“সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দলগুলি কাছাকাছিই থাকে। টি-টোয়েন্টিতে একজন দাঁড়িয়ে গেলেই খেলার ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে অন্তত ২-৩ জন লাগে। টি-টোয়েন্টিতে একজনই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।”