জাতীয় দলে যারা নিয়মিত মুখ, কোনো কারণে তারা না থাকলে বিকল্প খুঁজতে গিয়ে প্রায়ই হয়রান হতে হয় নির্বাচকদের। সিনিয়রদের বাইরে যারা দলে প্রতিষ্ঠিত নন, অনেক সময় তাদের উপযুক্ত বিকল্পও পাওয়া যায় না। দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন নিয়ে তাই প্রশ্ন বেশ কিছু দিন থেকেই। সবশেষ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারার পর আবারও উচ্চকিত হয়েছে প্রশ্নগুলো।
তবে বিসিবি সভাপতির দাবি, পাইপলাইনে ঘাটতি নেই। বরং নতুনদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার সুযোগই নেই সেভাবে।
“আমি এর সাথে একেবারেই একমত নই (পাইপলাইনে ঘাটতি আছে)। একেবারেই না। আপনি আজকে যে স্কোয়াডটি দেয়া হলো (টি-টোয়েন্টি), এখন এখানে যদি আমি দুটি নতুন ছেলের নাম দেই, দেখবেন তাদের কেউই ঘুরেফিরে সেরা একাদশে সুযোগ পাবে না। খেলাবে তো অন্য একাদশ, তাহলে লাভটি কি হবে?”
“আমরা তো সুযোগই দিতে পারছি না। সুযোগই যদি না দেই, তাহলে পাইপলাইনে খেলোয়াড় আছে কিনা এটা বুঝবেন কিভাবে?”
পাইপলাইনের প্রসঙ্গেই বিসিবি সভাপতি টেনে আনলেন সাকিবকে। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কেরও নাকি একসময় ধারণা ছিল না, কত ভালো ভালো ক্রিকেটার এই দেশে আছে।
“সাকিব আগে একবার বলেছিল, আমার স্পষ্ট মনে আছে যে, সে খুব চিন্তায় ছিল। আমাদের পাইপলাইনে নতুন খেলোয়াড় আছে কিনা। তবে এই টেস্টটি শুরু হওয়ার আগে , আমি যখন থাইল্যান্ডে যাচ্ছি, সেদিন রাতে আমার বাসায় এসে বলেছিল যে, “আমাদের এত ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে আমার ধারণাই ছিল না!”
“একটি বিষয় হচ্ছে জানা, আরেকটি হলো না জানা। আমার কথা হচ্ছে, আসলে কোনো ক্রিকেটার ভালো না খারাপ, সেটি সুযোগ না দেয়া পর্যন্ত আমরা বলতে পারছি না। এখন বাদ দিবেন কাকে? “