টেস্টের ব্যাপারে সাকিবের আগ্রহ কম: বিসিবি সভাপতি

সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, নেতৃত্বে না থাকলেই তার জন্য ভালো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সেই কথায় খুঁজে পেয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গির নতুন প্রকাশ। বিসিবি সভাপতির মতে, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সাকিবের খুব একটা আগ্রহ নেই। সেই অনাগ্রহ থেকেই জন্ম নেতৃত্বের অনীহা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 12:13 PM
Updated : 11 Sept 2019, 12:16 PM

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব বলেছিলেন, অধিনায়কত্ব করতে না হলেই তার জন্য ভালো। মনোযোগ বেশি দিতে পারবেন নিজের খেলায়।

মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সাকিবকে টেস্ট নেতৃত্ব দিয়েছিল বিসিবি। এখন সাকিবের এমন মন্তব্যের পর বোর্ডের ভাবনা কি? বুধবার বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নে একটু সময় নিলেন বিসিবি প্রধান। পরে পুরোনো প্রসঙ্গ থেকে খুঁজে পেলেন এখনকার কথার সমাধান।

“এটি কঠিন প্রশ্ন। তবে এটি ঠিক যে, আমরা দেখছি টেস্টের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন থেকে ওর আগ্রহ তেমন নেই। বিশেষ করে আপনারা যদি দেখেন, আমাদের দলগুলো যখন বাইরে যাচ্ছিল, তখন টেস্টের সময় সে বিরতি চায়। ন্যাচারালি ওর হয়তো আগ্রহটা কম।”

“তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে কখনো শুনিনি। আমরা কখনো শুনিনি যে, অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর আগ্রহ কম আছে। এখন বলার কারণ হতে পারে, অধিনায়ক হলে তো টেস্ট খেলতেই হবে। অধিনায়ক না হলে টেস্ট না খেলেও পারা যায়। তাই ন্যাচারালি হয়তো এই কারণে অধিনায়কত্বের কথাটি এসেছে।”

এর আগে গত বছরের জুলাইয়েও বিসিবি প্রধান একবার বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না সাকিব।

তবে সাকিব যেটাই বলুন বা মনোভাব যেমনই থাকুক, নেতৃত্ব থেকে তাকে মুক্তি দেওয়ার উপায় আপাতত দেখছে না বিসিবি।

“ও অনেক সার্ভিস দিয়েছে। আমরা মনে করি, সে হলো সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে অপশন আছে, তাদের মধ্যে থেকে সে সেরা। এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি। মিডিয়াতে বলেছে যে যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে- এই ধরনের একটি কথা।”

সংবাদ মাধ্যমে অনীহার কথা বললেও বিসিবির সঙ্গে নিজের চাওয়া নিয়ে কোনো কথা সাকিব বলেননি বলে নিশ্চিত করলেন নাজমুল হাসান। তার ধারণা, আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারার পর মন খারাপ থেকেও  অমন কথা বলতে পারেন সাকিব।

“আমি গতকাল ওর সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি। যেহেতু এখন একটি সিরিজ চলছে, আমার মনে হয় না এখনই এটি নিয়ে কথা বলা উচিত। ও যদি প্রসঙ্গ উঠাত, তাহলে অবশ্যই আলোচনা করতাম।”

“ও যখন আমাদের কাছে বলবে, তখন আমরাও ফরমালি বলব। হয় কী... মন টন খারাপ থাকে তো। ও তো আগে কয়টা টেস্টে যায়ও নাই। এসে হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল... ইমোশনাল হতে পারে। আমাদের ছেলেরা তো একটু আবেগি। ঠাণ্ডা মাথায় যখন বলবে, আমরাও যা বলার বলব, যদি সে বলে।”