আমরা অনেক ভয় নিয়ে, চাপ নিয়ে খেলি: সাকিব

অধিনায়ক উইকেটে টিকে আছেন এখনও। তবে বাস্তবতা বলছে, চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দিশা হারিয়ে ফেলেছে। বৃষ্টি না উদ্ধার করলে, শেষ দিনে আফগানিস্তানের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার। নবীন টেস্ট দলের বিপক্ষে কেন এই অবস্থা হলো? দিনশেষে সাকিব আল হাসান দিলেন সেটির ব্যাখ্যা। বাংলাদেশ অধিনায়ক কথা বললেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা, উইকেট, ব্যাটিং অর্ডার ওলট-পালট, দলের মানসিকতা, ঘাটতি ও সামনের পথচলা, প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু নিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2019, 03:57 PM
Updated : 8 Sept 2019, 06:01 PM

অধিনায়ক কি বেশি চাপে?

সাকিব আল হাসান: অবশ্যই, যে ধরনের ম্যাচ আমরা আশা করছিলাম তার পুরো বিপরীত হয়েছে। স্বাভবিকভাবে চাপ তো থাকবেই।

সেজন্যই কি আপনি এলেন (তিন দিনের মধ্যে দুইবার সংবাদ সম্মেলনে)?

সাকিব:  টিমমেটদের ওপর থেকে চাপ কমানোর একটা উপায় বলতে পারেন। মাঠের চাপ তো থাকবেই, যতদিন ক্রিকেট খেলব ততদিনই থাকবে। এটা মেনে নিতে হবে। এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করার কিছু নেই।

আজকে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, এই টেস্টে দলের পুরো পরিকল্পনা ভুল ছিল!

সাকিব: যখন ফল পক্ষে  আসে  না, তখন কথা হয়ই।  পরিকল্পনা  ঠিকমতো যদি বাস্তবায়ন করতে পারতাম,  তাহলে এরকম হতো না। যেহেতু পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি, তাই এরকম হয়েছে।  এখন এটাই বলা স্বাভাবিক যে পরিকল্পনায় ভুল ছিল।

মোসাদ্দেককে হুট করেই তিনে নামানো হলো। সেটির পেছনে কারণ কি? তার আউটের ধরন নিয়ে কি বলবেন?

সাকিব: সত্যি কথা বলতে প্রথম ইনিংসে আমরা যতজন ব্যাটিং করেছি, সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ ওকেই মনে হয়েছে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে। আমরা যেহেতু স্পিনের মুখোমুখি বেশি হচ্ছিলাম, কাল রাত থেকেই প্ল্যান করা হচ্ছিল যে ও ওপরের দিকে ব্যাট করলে ভালো। প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যাট করেছে, ওভাবে করতে পারলে…এছাড়া বড় ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতাও  আছে ওর। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে বোধ হয় চার-পাঁচটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছে (তিনটি)।

চারশ তাড়া করতে হলে এরকম কিছু ক্রিকেটারকে দরকার হতো, যাদের বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস আছে বা খেলে অভ্যস্ত। সেকারণেই এই পরিকল্পনা। পাশাপাশি, নবি যেহেতু বাঁহাতিদের বিপক্ষে অনেক বেশি কার্যকর, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ডান-বাঁ কম্বিনেশন রাখার। সব মিলিয়ে ওকে প্রমোট করা হয়েছিল।

যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যাট করছিল, ততক্ষণ খুব ভালো ব্যাটিং করেছে, এটা সত্যি কথা।  শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নটা ভালো করতে পারেনি। এটা ওর ব্যর্থতা। মেনে নিতে হবে। 

আমি বলব যে, তুলে না মেরে নিচে মারলে, হয়তো চারটা রান হতো, আউটও হতো না। সে ওই সময় থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।

ইনিংসের শুরুর দিকেই লিটন রিভার্স ‍সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন। মোসাদ্দেক উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হলেন। আবার মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞরা রশিদ খানের বল বুঝতে না পেরে আউট হয়েছে। সমস্যা কোথায় হয়েছে, মানসিকতায় নাকি টেকনিকে?

সাকিব: দুটোই বলতে পারেন। টেকনিক্যালি সমস্যা হতেই  পারে। যেহেতু রিস্ট স্পিনার আমরা তত খেলি না।  স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অ্যাডজাস্ট করার একটা ব্যাপার থাকবে এখানে।

যদিও আমরা পরিকল্পনা করেছি বা প্রস্তুতি নিয়েছি। নেটে ওরকম বোলার এনে প্র্যাকটিস করেছি। কিন্তু যতক্ষণ না আপনি ম্যাচ খেলছেন বা সফল হচ্ছেন, ততক্ষণ ওই প্র্যাকটিস খুব একটা কাজে আসবে না। যখন ওটা খেলার পরে ম্যাচে সফল হবেন, তখন ওটা কাজে আসবে।

মানসিকতার কথা বললে, আমি বলব না কারও অ্যাপ্রোচে সমস্যা ছিল। আমি বলব বাস্তবায়নে অনেক সমস্যা। বড় মন নিয়ে খেলতে না পারা একটা সমস্যা। বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণ হচ্ছে, যখন আপনি ভয়ে ভয়ে মারতে যাবেন, তখন বাস্তবায়নে সমস্যা হবে। লিটন যখন টি-টোয়েন্টি খেলে, তখন রিভার্স সুইপ কেন, যত শটই খেলে, ওর লাগে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে ও এটা করতে পারেনি। এটা ওরও ব্যর্থতা, আমাদের দলের জন্যও ব্যর্থতা যে আমরা এরকম করতে পারছি না।

কোচও এই কথাই বলেছেন যে আমরা যেন মন খুলে খেলি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা অনেক ভয় নিয়ে খেলি, অনেক চাপ নিয়ে খেলি। দিন শেষে এটা তো ক্রিকেট ম্যাচ। অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুনিয়ার সব কিছুই এটা না। আমরা অনেক সময় এরকম ভেবে ফেলি, এত বেশি চাপ নিয়ে ফেলি নিজেদের ওপরে যে পারফর্ম করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়। আর যখন করতে পারি না, তখন চাপটা আরও বেশি পড়ে।

যারা সিনিয়র বা জাতীয় দলে নিয়মিত, ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লিগ বা বিসিএলে কি তাদের আরও বেশি  খেলা উচিত?

সাকিব: আমি তো চার-পাঁচ বছর খেলিনি, কোনো সমস্যা হয়নি!

আপনার সমস্যা হয়নি, অন্যদের হতে পারে!

সাকিব: জাতীয় লিগে খেলাও একটা সমস্যা হতে পারে। ওখানে গেলে এত সহজ বোলিং আক্রমণ পেয়ে যায়, চার-পাঁচটা দুইশ  করে ফেলে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার-পাঁচ রান করাও সমস্যা হয়ে যায়। তো দুটোরই সমস্যা থাকতে পারে। ওটা আপনার বুঝতে হবে কার জন্য কী সমস্যা। সবার জন্য এক ঔষধ কাজ হবে, এটা বলা ভুল।

অধিনায়ক হিসেবে তাহলে আপনার কি পরামর্শ থাকবে?

সাকিব: দেখুন, এরকম বলতে হলে বিশাল পরিকল্পনা বলতে হবে। অনেক পরিকল্পনা আছে, অনেক কিছু আছে। অনেক কিছু ঠিক করার পরে এরকম কিছু করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা। যখন আমরা খারাপ করি, তখন এগুলা নিয়ে কথা হয়। এরপর যখন ভালো করি, এগুলা সব বন্ধ হয়ে যায়। এই বিষয়গুলো ব্যালান্স করা জরুরি।

ডান-বাঁ কম্বিনেশনের কথা বললেন। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে এত ওলট-পালট করলে তাতে ব্যাটসম্যানের মানসিক প্রস্তুতি কি ব্যহত হয় না?

সাকিব: নাহ। চারশ তাড়া করতে গেলে আপনাকে অন্য কিছু করতে হবে। আমরা তো কখনও চারশ তাড়া করিনি। যদি দুইশ তাড়া করতাম, আমাদের ব্যাটিং অর্ডার ওরকমই থাকত।

আমরা প্রথম ইনিংসে তো খেলেছি, দুইশই করেছি। তার থেকে আর কতই বা খারাপ হতে পারে! ভালো করার ইচ্ছাতেই পরিকল্পনাগুলো করা হয়। যখন পরিকল্পনা কাজে আসে, তখন বলা হয় 'ওয়াও, কী প্ল্যান ছিল।’ যখন কাজে আসে না, তখন মনে হয় পরিকল্পনা ভুল ছিল।

আপনি উইকেটে আছেন, সঙ্গে সৌম্য, পঞ্চম দিনে কতদূর যাওয়া সম্ভব?

সাকিব: রান কত দরকার? ২৭০...দুইজনের ১০০ করতে হবে…  ১০০ না, একজনের ১২০, আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে… (হাসি)।

বাম্তবে কি এটা সম্ভব?

সাকিব: দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না, কী হয়। আরেকটা উপায় আছে, ওপরে…বৃষ্টি। ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।

কার্ডিফের মতো কিছু হবে (২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে শুরুর পরও সাকিব-মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়)?

সাকিব: কার্ডিফে ফিরতে দুইজনেরই দারুণ কিছু করতে হবে। আমি যদি ১৭০ করি, তার অন্তত ১২০ তো করতে হবে। তারপর আমরা জিততে পারব। অসম্ভব না, কিন্তু অনেক কঠিন কাজটা।

ব্যাটিংয়ে নামার আগে ৩৯৮ তাড়া করা সম্ভব মনে হয়েছিল?

সাকিব: ৩০ রান পর্যন্ত মনে হয়েছিল সম্ভব। কারণ উইকেট যথেষ্ট ভালো আছে। রিষ্ট স্পিনাররা ওদের বাড়তি সুবিধা পাবেই। সেটা যেকোনো উইকেটেই পায় চার বা পাঁচ নম্বর দিনে। কিন্তু উইকেটটা খেলার অনুপযোগী নয়।

আমার মনে হয় আমরা আরও ভালো নিবেদন কিংবা বড় মন নিয়ে যদি খেলতে পারতাম, আরও ভালো কিছু করা সম্ভব হতো।

উইকেট হয়ত আমরা যেমন চেয়েছিলাম, তেমন পাইনি। তার মানে এই না যে আমরা ভেঙে পড়ব। এখানে আমাদের কোয়ালিটি দেখানোর সুযোগ ছিল, যেটা আমরা খুব ভালোভাবে ব্যর্থ হয়েছি।

নিবেদন বা বাস্তবায়নে ঘাটতির কথা বললেন। আসলে কি সামর্থ্যেও ঘাটতি আছে?

সাকিব: সামর্থ্য সবার ভেতরেই আছে। আমাদের দলে যত ক্রিকেটার খেলছে, একমাত্র সাদমান বাদে এমন কেউ নেই যে বড় ইনিংস খেলেনি বা দলকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল না কখনও। তারা যেহেতু পারে, তার মানে সামর্থ্য অবশ্যই আছে।

এখন বিষয় হলো আপনার প্রতিভা আছে এবং সেটা মাঠে প্রদর্শন করা। আরেকটা হলো প্রতিভা আছে কিন্তু সেটা কখনও দেখাতে না পারা। এটা খুবই সূক্ষ্ণ একটা পার্থক্য। কিন্তু এটাই বড় খেলোয়াড় ও ছোট খেলোয়াড় আলাদা করে দেয়।

আফগানিস্তানের পরিণত ক্রিকেট, শরীরী ভাষা কতটা নজর কাড়ার মতো?

সাকিব: ভালো! কিন্তু আমরা তো আসলে ওদের সেই পজিশনে আনতেই পারিনি যখন মানসিক শক্তির পরীক্ষা হবে। যদি আনতে পারতাম, তখন আসলে বোঝা যেত যে ওদের কত মানসিক শক্তি আছে। যেহেতু ওই পজিশনেই আনতে পারিনি, তাহলে ওদের মানসিকতার কী দেখব!

আমরা যদি আজকে ২ উইকেটে ২০০ রান করতে পারতাম, তখন না হয় কালকে ওদের মানসিকতা, প্রতিজ্ঞা, আরও সবকিছু দেখতাম। যেহেতু আনতেই পারিনি, এখন এ প্রশ্নের উত্তর কী দেব!

এই ম্যাচ কি স্রেফ ক্রিকেটের নিয়মের অংশ নাকি আমাদের ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা?

সাকিব: ভালো একটাই ব্যাপার যে, ম্যাচটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে পড়বে না। আমাদের ক্রিকেটের জন্য, আমাদের জন্য হতাশাজনক অবশ্যই যে নতুন একটা দলের কাছে আমরা হেরে গেলাম।

তবে নতুন দল মানেই যে তারা জিততে পারবে না, এমনটাও ঠিক না। তাহলে ইংল্যান্ড ২০০ বছর ধরে খেলে, আমরা ১৫-২০ বছর ধরে খেলে তাদের বিপক্ষে জিতেছি। তখন তাদের কেমন লাগার কথা? তাই বিষয়টা এমন না।

অবশ্যই আফগানিস্তানকে সম্মান দিতে হবে। তারা ভালো খেলেই এমন একটা জায়গায় এসেছে, যেখান থেকে তারা জিততে পারে। আমি যেটা বললাম, হয়তো আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারতাম। তখন ওদের একটা চ্যালেঞ্জের মুখে আনতে পারতাম। টেস্ট ক্রিকেটের যে পরীক্ষা সেটা আমরা নিতে পারিনি। এটা অবশ্যই হতাশার।

এই টেস্টের বাস্তব ফল এখন কি হতে পারে?

সাকিব: বাস্তব ফল তো আমরা এই ম্যাচে হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর না পড়ে, তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি।

এখানেও আসলে একটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায়। আমরা যে ৪ জন বাকি আছি, তারা যদি কিছু একটা করে দেখাতে পারি। কিছু করতে না পারলেও লড়াই করার যে মানসিকতা, আমরা যে এতদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, অন্তত ঘরের মাঠে ভালো কিছু করেছি, তার একটা প্রমাণ অন্তত আমরা রেখে যেতে পারি। হয়তো হারতে পারি, তবে ওই যে লড়াই করার যে একটা ছাপ, সেটা যেন আমরা দেখাতে পারি।

এই টেস্ট তো শেষ হচ্ছে। সামনের পথচলার জন্য, অধিনায়ক হিসেবে আপনি কি অন্তত একজন পেসারকে তৈরি দেখতে চান?

সাকিব: আমি যেটা ম্যাচের আগেও বলেছি, পেসারদের জায়গাটা আদায় করতে হবে তো, নাকি?  আপনি যদি দেখেন, আজকেই আমি পেসারদের পরিসংখ্যান দেখছিলাম। আমাদের পেসারদের ইকোনমি ৪.৪১। ওরা যদি পুরো ৯০ ওভার বোলিং করে তাহলে একদিনেই রান দেবে ৪০০। আমরা তাহলে কিন্তু প্রথম দিনই টেস্টের বাইরে। ইকোনমি রেট যদি ২.৮ কিংবা ২.৯ থাকে এবং ওরকম স্ট্রাইক রেট থাকলে তখনই না আমরা ওদেরকে নিতে পারব!

আমাদের কোনো বোলার যদি আমাদের কাজেই না আসে, তাকে নিয়ে লাভটা কি?  শেষ কয়েক বছরে আমাদের ঘরের মাঠে যেসব ম্যাচ আমরা জিতেছি, কয়টা পেস বোলার কতটা উইকেট নিয়েছে? কয় ওভার বোলিং করেছে, কতো ইকোনমি রেটে? সেটা জানা জরুরি। 

আমাদের যে নতুন পেস বোলিং কোচ আছে তিনি প্রতিদিন পেসারদের নিয়ে কাজ করছে। যে পরিমাণে পরিশ্রম করছে, তাতে মনে হচ্ছে অচিরেই আমরা ভালো পেসার পেতে পারি।  একটা টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে আপনার সব ধরণের বোলার থাকতে হবে। আপনার রিস্ট স্পিনার থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো ১৪০-১৫০ গতিতে বল করার একজন পেসার থাকতে হবে। একটা বোলার থাকতে হবে যে সারাদিন বোলিং এক জায়গায় করবে, যেন রান না হয়। তারপর দুই-একটা 'এক্স ফ্যাক্টর’ থাকতে পারে। যতদিন না হবে, ততদিন আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে ম্যাচ জিততে হবে।