রানের জোয়ারে এবার স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরি

ভেন্যু বদলাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে উইকেট। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ বদলাচ্ছে। কৌশল বদলাচ্ছে। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের কিছুই বদলাচ্ছে না। মাথায় চোট পেয়ে বিরতি পড়ছে। ছন্দে থাকার সময় বৃষ্টির বাঁধা পড়ছে। স্মিথের কিছুই যায় আসছে না। আপন ভুবনে খেলে যাচ্ছেন যেন আপন মনে। বইয়ে দিচ্ছেন রানের জোয়ার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার করলেন ডাবল সেঞ্চুরি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2019, 07:02 PM
Updated : 5 Sept 2019, 07:20 PM

অ্যাশেজের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৯৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া।

ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে স্মিথ করেছেন ২১১ রান। দ্বিশতক সবকটিই করলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এবারের আগে ২০১৫ অ্যাশেজে করেছিলেন লর্ডসে, ২০১৭ অ্যাশেজে পার্থে।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ড সুযোগ পেয়েছে ১০ ওভার ব্যাটিংয়ের। ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৩ রান।

বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে ৪৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ দ্বিতীয় দিন শুরু করেন ৬০ রান নিয়ে।

দিনের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া হারায় ট্রাভিস হেডকে। আগের দিনের ১৮ রানের সঙ্গে ১ রান যোগ করেই বিদায় নেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। লম্বা সময় টিকতে পারেননি ম্যাথু ওয়েডও।

স্মিথকে সঙ্গ দেন এরপর টিম পেইন। গড়ে ওঠে জুটি। বাড়তে থাকে রান। বাড়তে থাকে ইংলিশদের হতাশাও। ষষ্ঠ উইকেটে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন দুজন।

১৬০ বলে স্মিথ স্পর্শ করেন তার ২৬তম টেস্ট সেঞ্চুরি, ১১টিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

সিরিজে আগের ছয় ইনিংসে একটিও ফিফটি করতে না পারা পেইন অবশেষে দেখা পান প্রথম পঞ্চাশের। ৫৮ রান করে বিদায় নেন ক্রেইগ ওভারটনের বলে।

ব্যক্তিগত ১১৮ রানে জ্যাক লিচের স্পিনে স্লিপে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে হাঁটা ধরেছিলেন স্মিথ। তবে থার্ড আম্পায়ার ডাকেন নো বল। জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান। তুলে নেন ডাবল।   

স্মিথ ডাবল সেঞ্চুরি করেন ৩১০ বলে। দুইশ করার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই চেষ্টায়ই ২১১ করে আউট হন জো রুটকে রিভার্স সুইপ খেলে।

সিরিজের চার ইনিংসে স্মিথের রান এখন ৫৮৯। গড় ১৪৭.২৫। চার ইনিংস খেলেই এই বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রান এখন তার।

ইংলিশদের যন্ত্রণা শেষ হয়নি তাতেও। লোয়ার অর্ডারে মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান লায়নরাও রান তোলেন দ্রুতগতিতে। নবম উইকেটে এই দুজনের জুটিতে ৪৯ বলে আসে ৫৯ রান।

পাঁচশ রানের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেন লায়ন। দশম টেস্ট ফিফটিতে তখন ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত স্টার্ক, ২৬ বলে ২৬ লায়ন।

ইংলিশ ওপেনারদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল শেষ বিকেল নিরাপদে কাটানো। ব্যাটিং অর্ডার বদলে ররি বার্নসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন জো ডেনলি। কিন্তু তাতেও শুরুটা ভালো হয়নি। ৪ রানে ডেনলিকে ফিরিয়ে দেন প্যাট কামিন্স।

বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন নাইটওয়াচম্যান ওভারটন ও বার্নস। তবে অপেক্ষায় তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১২৬ ওভারে ৪৯৭/৮ (ডি.)(আগের দিন ১৭০/৩) (স্মিথ ২১১, হেড ১৯, ওয়েড ১৬, পেইন ৫৮, কামিন্স ৪, স্টার্ক ৫৪*, লায়ন ২৬*; ব্রড ২৫-২-৯৭-৩, আর্চার ২৭-৩-৯৭-০, স্টোকস ১০.৫-০-৬৬-০, লিচ ২৬.১-৩-৮৩-২, ওভারটন ২৮-৩-৮৫-২, ডেনলি ৩-১-৮-০, রুট ৬-০-৩৯-১)।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১০ ওভারে ২৩/১ (বার্নস ১৫*, ডেনলি ৪, ওভারটন ৩*; স্টার্ক ২-২-০-০, হেইজেলউড ৪-১-৩-০, কামিন্স ৩-০-১০-১, লায়ন ১-০-১০-০)।