অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি দাপট ছিল অবশ্য বৃষ্টির। দিনের অর্ধেকের বেশি খেলা হতেই পারেনি। ৪৪ ওভার হয়েছে খেলা। অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩ উইকেটে ১৭০ রান।
প্রথম টেস্টে ১৪৪ ও ১৪২, দ্বিতীয় টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ৯২ রান করার পর স্মিথ এবার অপরাজিত আছেন ৬০ রানে।
স্মিথের চোটেই দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কনকাশন বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন লাবুশেন। সেই ইনিংসে করেছিলেন ফিফটি। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। পরের টেস্টেও করেছেন জোড়া ফিফটি। টানা চতুর্থ ফিফটিতে এই ইনিংসে করেছেন ৬৭।
এই দুজনের শতরানের জুটির আগে শুরুতে যথারীতি ধুঁকছিল অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দল ম্যাচের প্রথম ওভারেই হারায় ডেভিড ওয়ার্নারকে। বোলার আবারও স্টুয়ার্ট ব্রড।
এই সিরিজে রাউন্ড দা উইকেট বল করে ওয়ার্নারের জন্য বিভীষিকা হয়ে উঠেছেন ব্রড। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এবার টিকেছেন কেবল ২ বল। স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে গিয়ে ব্যাট সরাতে পারেননি সময়মতো। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল গেছে উইকেটের পেছনে।
এই নিয়ে সিরিজে পঞ্চমবার ব্রডের শিকার হলেন ওয়ার্নার।
লাবুশেন ও স্মিথ সেখান থেকেই টেনে তোলেন দলকে। দুজনের ব্যাটেই ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। ইংলিশ বোলিং সামলাতে খুব একটি সমস্যা হয়নি কারও। অপ্রথাগত ব্যাটিংয়ে আরেকবার ইংলিশ বোলারদের ভুগিয়েছেন স্মিথ। লাবুশেন ছিলেন আঁটসাঁট।
১১৬ রানের এই জুটি ভেঙেছেন ক্রেইস ওভারটন। ক্রিস ওকসের বদলে এই টেস্টের একাদশে ঢোকা পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ৬৭ রানে বোল্ড হয়ে যান লাবুশেন।
ট্রাভিস হেড নেমেই তিনটি বাউন্ডারি পেয়ে যান দ্রুত। স্মিথের সঙ্গে তার জুটি গড়ে উঠছিল। সারাদিনে আরও কয়েকবারের মতো তখন আবার বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি।
পরে বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভেজা থাকায় খেলা আর শুরু হতে পারেনি। ৭ চারে ৯৩ বলে ৬০ করে অপরাজিত আছেন স্মিথ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১৭০/৩ (হ্যারিস ১৩, ওয়ার্নার ০, লাবুশেন ৬৭, স্মিথ ৬০*, হেড ১৮*; ব্রড ১০-২-৩৫-২, আর্চার ১০-০-২৮-০, স্টোকস ৮-০-৩৬-০, লিচ ৬-১-১৮-০, ওভারটন ১০-০-৪১-১)।