কোচের সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পেলেন মিসবাহ

গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহ অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছিল, পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন মিসবাহ-উল-হক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঘোষণায় তার পরও থাকল বড় চমক। কোচ তো বটেই, সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পেয়েছেন মিসবাহ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2019, 09:22 AM
Updated : 4 Sept 2019, 09:22 AM

পাকিস্তানের নতুন কোচিং স্টাফে চমক আছে আরেকটি। সাবেক প্রধান কোচ ও পেস কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস এবার ফিরছেন বোলিং কোচের দায়িত্বে।

গত বিশ্বকাপের পর তখনকার কোচ মিকি আর্থারের চুক্তি আর নবায়ন করেনি পিসিবি। নতুন কোচের খোঁজ চলছিল এরপর থেকেই। পিসিবির ক্রিকেট কমিটি থেকে পদত্যাগ করে প্রধান কোচ পদের জন্য আবেদন করেন মিসবাহ। আবেদন করেছিলেন সাবেক কোচ মহসিন খান ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডিন জোন্সও।

কোচ নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছিল পিসিবি। দুই সাবেক ক্রিকেটার ইন্তিখাব আলম ও বাজিদ খানের সঙ্গে ছিলেন পিসিবির গভর্নিং বডির সদস্য আসাদ আলি খান, প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালক জাকির খান। তাদের আস্থা পেয়েছেন মিসবাহ। বলা হচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা এখন মিসবাহরই।

পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০১৭ সালে। পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার শীর্ষে উঠেছিল তার নেতৃত্বে। টেস্ট খেলেছেন ৭৫টি, রান ৫ হাজার ২২২। ব্যাটিং গড় ৪৬.৬২, সেঞ্চুরি ১০টি, পঞ্চাশ ৩৯টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পরও খেলে যাচ্ছিলেন টুকটাক, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছেন এই বছরও।

মিসবাহ ও ওয়াকার, দুজনেরই দায়িত্বের মেয়াদ আপাতত তিন বছর। আগেও জাতীয় দলে একসঙ্গে কাজ করা এই দুজন এবার একত্রে ফিরছেন ভিন্নভাবে।

মিসবাহর প্রায় ৭ বছরের অধিনায়কত্বের সময় দুই মেয়াদে প্রধান কোচ ছিলেন ওয়াকার। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন সাবেক এই বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার। ২০০৬-০৭ সালে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯-১০ সময়কালে ছিলেন ফিল্ডিং কোচ। ২০১০-১১ মেয়াদে ছিলেন প্রধান কোচ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে আবারও পান প্রধান কোচের দায়িত্ব।

কোচ হিসেবে ৪৫ বছর বয়সী মিসবাহর অভিষেক হচ্ছে ২৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে।