‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার’, গত ৮-৯ বছর ধরে সাকিব আল হাসানের সবচেয়ে বড় পরিচয় এটি। তিন সংস্করণেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা একমাত্র ক্রিকেটারের পাশে এই পরিচয়ই সবচেয়ে মানানসই। তবে এই মুহূর্তে তিনি কেবল ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়েই শীর্ষে। টি-টোয়েন্টিতে আছেন দুইয়ে, টেস্টে তিনে।
গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর আর টেস্ট খেলেননি সাকিব। জানুয়ারিতে তাকে দুইয়ে নামিয়ে টেস্টের শীর্ষে ওঠেন হোল্ডার। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক এখনও আছেন শীর্ষে। কয়েকদিন আগে সাকিবকে তিনে নামিয়ে স্টোকস উঠে গেছেন দুইয়ে।
র্যাঙ্কিংয়ে একক শ্রেষ্ঠত্ব না থাকলেও পারফরম্যান্স, ধারাবাহিকতা ও দলে ভালো-মন্দে প্রভাব মিলিয়ে এখনও অনেকের মতেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবই। তবে র্যাঙ্কিং দিয়েই তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিষ্ঠা শুরু, তাই এটির আলাদ গুরুত্ব তো আছেই। বিশেষ করে টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের ওজনই যেখানে সবচেয়ে বেশি।
তবে সাকিবের নিজের কাছে সবচেয়ে বেশি ওজন দলে অবদান রাখতে পারায়। এমনিতে নিজের অর্জন, র্যাঙ্কিং, রেকর্ড, এসব তাকে ভাবায় সামান্যই। এখন তিনি অধিনায়ক। ব্যক্তিগত অর্জনের ভাবনা যেন আরও কম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের আগের দিন বুধবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, দলকে জেতানোতেই তার জয়।
“একটা জিনিসই কাজ করে যে দলের জয়ের পেছনে কতটা অবদান রাখতে পারি। সেটি যদি বেশি রাখতে পারি, স্বাভাবিকভাবেই র্যাঙ্কিং তার জায়গাটা আপনা আপনি করে নেবে। এই কারণেই আমার র্যাঙ্কিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।”
“আমার চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজনে ভালো কিছু করার। সেটা কম হোক বা বেশি, সেটি আমার কাছে গুরুত্ব পায় না। সেটা করতে গিয়ে যদি র্যাঙ্কিংয়ে ভালো কিছু হয়, আমি অবশ্যই সেটি নেব।”
তার কাছে যে দলের প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি, এটা ভালো করেই জানেন সাকিব। গত বিশ্বকাপের পর সেই প্রত্যাশা ছুঁয়েছে আকাশ। আশা পূরণের অঙ্গীকার সাকিবের কণ্ঠেও আছে, তবে সেখানেও থাকল কেবল দলে অবদানের কথা।
“প্রত্যাশা সবসময়ই থাকে। একেক সময় একেক রকম প্রত্যাশা থাকে। প্রত্যাশার চাপও থাকে। কিন্তু চাওয়া সবসময়ই থাকে দলের জয়ে যতটুকু অবদান রাখা সম্ভব, ততটুকু যেন করতে পারি। সবসময় হয় না। সবসময় ওভাবে প্রস্তুতিও নেওয়া যায় না। তবে চেষ্টার কখনও কমতি থাকে না।”