পাল্লেকেলেতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৬১ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে শেষ ওভারে গড়ানো লড়াইয়ে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউ জিল্যান্ড।
শেষ ওভারে কিউইদের দরকার ছিল ৭ রান, উইকেট ছিল ৬টি। প্রথম দুই বলে টম ব্রুস ও ড্যারিল মিচেল আউট হয়ে গেলে আশা জোরালো হয় শ্রীলঙ্কার। পরক্ষণেই অবশ্য সব শেষ। পরপর দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মিচেল স্যান্টনার।
প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা কুসল মেন্ডিস ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সেথ র্যান্সের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে মিড-অফে ক্যাচ দেন দুটি করে চার-ছক্কায় ২৬ রান করা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। দ্রুত ফিরে যান কুসল পেরেরা।
তৃতীয় উইকেটে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন আভিশকা ফের্নান্দো ও নিরোশাল ডিকভেলা। ফের্নান্দো ২৫ বলে ৩৭ রান করে টিম সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ৪৪ বলে ৬৮ রানের জুটি। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি ডিকভেলাও। র্যান্সের দ্বিতীয় শিকার হন ৩০ বলে ৩৯ রান করা বাঁ-হাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ডিকভেলা।
শেষ দিকে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে শেহান জয়াসুরিয়া, ভানিদু হাসারাঙ্গা ও ইসুরু উদানার ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা।
৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার ডান হাতি পেসার র্যান্স।
দনাঞ্জয়ার ঘূর্ণিতে স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুলতেই ফিরে যান নিউ জিল্যান্ডের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে পথ দেখান আগের ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা ডি গ্র্যান্ডহোম।
তাতে অবশ্য ভাগ্যের সহায় ছিল যথেষ্ট। দনাঞ্জয়ার শেষ ওভারে স্লগ-সুইপ করতে গিয়ে তালগোল পাকান ডি গ্র্যান্ডহোম, বল উঠে যায় আকাশে। ছুটে এসে সহজ ক্যাচ নিতে গিয়ে পড়ে যান শানাকা। ওই সময়ে তার রান ৩৬।
উনবিংশ ওভারে ইসুরু উদানার বলে গ্র্যান্ডহোম আউট হলে ভাঙে ৮৮ বলে ১০৯ রানের জুটি, যা এই সংস্করণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। ৪৬ বলে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৯ রান করেন গ্র্যান্ডহোম।
সঙ্গীর বিদায়ের পর জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি ব্রুসও। ৪৬ বলে তিন চারে ৫৩ করে রান আউট হন তিনি। দুই বল খেলে একটি করে চার ও ছক্কায় বাকি কাজটুকু সারেন স্যান্টনার।
৩৬ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার দনাঞ্জয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৬১/৯ (মেন্ডিস ২৬, পেরেরা ১১, ফের্নান্দো ৩৭, ডিকভেলা ৩৯, শানাকা ০, জয়াসুরিয়া ২০, হাসারাঙ্গা ১১, উদানা ১৩, দনাঞ্জয়া ০, মালিঙ্গা ০*; সাউদি ৪-০-১৮-২, র্যান্স ৪-০-৩৩-৩, কুগেলেইন ৪-০-৩৮-২, স্যান্টনার ৪-০-৩৪-০, সোধি ৪-০-৩৪-১)
নিউ জিল্যান্ড: ১৯.৪ ওভারে ১৬৫/৬ (মানরো ১৩, সাইফার্ট ১৫, কুগেলেইন ৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫৯, ব্রুস ৫৩, মিচেল ১, স্যান্টনার ১০*, সাউদি ০; মালিঙ্গা ৪-০-৩৯-০, দনাঞ্জয়া ৪-০-৩৬-৩, জয়াসুরিয়া ২-০-২২-০, সান্দাকান ৪-০-১৬-০, উদানা ৩-০-১৮-১, হাসারাঙ্গা ২.৪-০-৩২-১)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: টিম সাউদি
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০এ এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড