চট্টগ্রামে দুই দিনেরপ্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি একাদশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৩ রানে।
তরুণ, অভিজ্ঞ ও ঘরোয়াক্রিকেটের পারফরমারদের মিলিয়ে বিসিবি একাদশের ব্যাটিং লাইন আপ ছিল যথেষ্টই সমৃদ্ধ।কিন্তু তারা দাঁড়াতেই পারেনি আফগান স্পিনের সামনে।
এখনও পর্যন্ত কেবল একটিআন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা চায়নাম্যান বোলার জহির ১১.৩ ওভার বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন২৪ রানে। অধিনায়ক রশিদের লেগ স্পিনে ৩ উইকেট এসেছে ২৬ রানে।
আগের দিন টস জিতেব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করে আর ১১ ওভার। যোগ করে ৪৭রান। ইনিংস ঘোষণা করে তারা ৯ উইকেটে ২৮৯ রান নিয়ে।
আরেক ওপেনার এনামুল হকএকটি করে চার ও ছক্কায় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৫ বলে ১৯ রান করাব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন রশিদ।
তিনে নামা ফজলে মাহমুদরাব্বি ৮ রানে আউট হয়েছেন বাঁহাতি পেসার সায়েদ শারজাদের বলে। বাকি সব উইকেটইনিয়েছেন স্পিনাররা।
জহিরের প্রথম শিকার নাঈমইসলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েক বছর ধরে টানা পারফর্ম করে আসা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানঅনেক দিন পর সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় পর্যায়ের কোনো ম্যাচে। কিন্তু সুযোগ কাজেলাগাতে পারেননি তিনি। ফিরেছেন ৩২ বলে ১৩ রানে।
আগের দিন বোলিংয়ে সাফল্যপাওয়া আল আমিন ব্যাটিংয়েও দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। সেটি কেবল ২৯ রান করেই। ৫ চারেরইনিংসটায় বড় কিছুর ইঙ্গিত ছিল। আল আমিন পারেননি পূর্ণতা দিতে।
অধিনায়ক নুরুল হাসানসোহান ও চট্টগ্রামেরই ছেলে ইরফান শুক্কুর পারেননি প্রতিরোধ গড়তে। তরুণ ফারদিনহোসেন একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান করেই বিদায় নেন।
আফগানিস্তান দ্বিতীয়ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১৪ রান করার পর সমাপ্তি টানা হয় ম্যাচের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস:৯৯ ওভারে ২৮৯/৯ (ডি.)(আগের দিন ২৪২/৮) ( আফসার ৩৫*, রশিদ ১৩,কাইস ২৩*; মেহেদি রানা ১০-০-৩২-০, মানিক ১২-২-৩৪-০, সাকিল ১৭-৬-৩৬-০, সুমন ১৯-৮-৪৩-৩, জুবায়ের ১৯-১-৬৮-০,গালিব ৪-০-১৮-০, আল আমিন ১৮-৩-৫১-৪)।
বিসিবি একাদশ ১ম ইনিংস:৪৪.৩ ওভারে ১২৩ (এনামুল ১৯, সাব্বির ৪, ফজলে মাহমুদ ৮, নাঈম ১৩, আল আমিন ১৯, সোহান১৫, ইরফান ৯, ফারদিন ১৪, সুমন ৩, মেহেদি রানা ০, মানিক ০*; ইয়ামিন ৫-১-১২-০, শাপুর৫-২-৪-১, নবি ৮-২-১৮-০, রশিদ ৮-১-২৬-৩, শারজাদ ৫-০-২৩-১, জহির ১১.৩-৩-২৪-৫, কাইস২-০-১০-০)।
আফগানিস্তান ২য় ইনিংস:৩.৫ ওভারে ১৪/০
ফল: ম্যাচ ড্র