বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনটায় দুই ওপেনার ছাড়া ভালো হয়নি আফগানিস্তানের অন্যদের প্রস্তুতি। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের ম্যাচের প্রথম দিন শেষে আফগানদের রান ৬ উইকেটে ২৪২।
ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাতের ব্যাট থেকে এসেছে ৬২, আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান করেছেন ৫২।
মূলত ব্যাটসম্যান হলেও বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন বিসিবি একাদশের আল আমিন। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তবে স্পিনে মূল কৌতূহল ছিল যাকে ঘিরে, সেই জুবায়ের হোসেন সুবিধা করতে পারেননি মোটেও। প্রায় ২ বছর পর জাতীয় পর্যায়ের কোনো ম্যাচে সুযোগ পাওয়া লেগ স্পিনার ১৯ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।
বিসিবি একাদশের হয়ে নতুন বল নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা ও তরুণ পেসার মানিক খান। পেস আক্রমণে ছিলেন আরেক তরুণ সুমন খান ও বাঁহাতি সালাউদ্দিন সাকিল। অনভিজ্ঞ এই পেস আক্রমণ সেভাবে ভোগাতে পারেনি আফগানদের। দুই ওপেনারই পেস সামলেছেন বেশ ভালো।
বিকেএসপির হয়ে গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নজর কাড়া সুমন অবশ্য বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন। পরে উইকেটও নিয়েছেন দুটি।
৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৩৭ বলে ৬২ রান করে অবসরে যান ইহসানউল্লাহ। ইব্রাহিম উইকেট ছাড়েন ১২৪ বলে ৫২ রান করে।
স্বেচ্ছাবসরে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানের পর সেভাবে আর উইকেটে জমে বসতে পারেননি আফগানদের অন্যরা। তিনে নামা জাভেদ আহমাদিকে তিন রানেই বিদায় করেন সুমন। অভিজ্ঞ রহমত শাহকে ফিরিয়ে আল আমিন শুরু করেন শিকার।
মোহাম্মদ নবি অবশ্য কিছুটা সময় কাটাতে পেরেছেন উইকেটে। একটি করে চার ও ছক্কায় ৭৯ বলে ৩৩ করে তিনি আউট হয়েছেন সুমনের বলে।
শেষ দিকে আফসার জাজাই ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ২০ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৮৮.১ ওভারে ২৪২/৬ (ইহসানউল্লাহ ৬২, ইব্রাহিম ৫২, জাভেদ ৩, রহমত ৭, শহিদি ২৬, আসগর ১৬, নবি ৩৩, ইকরাম ১, আফসার ২০*, রশিদ ৬*; মেহেদি রানা ১০-০-৩২-০, মানিক ১১-২-২৮-০, সাকিল ১৩-৫-১৯-০, সুমন ১৩.১-৬-২১-২, জুবায়ের ১৯-১-৬৮-০, গালিব ৪-০-১৮-০, আল আমিন ১৮-৩-৫১-৪)।