সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার চার বছর পর অবসর নিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্পিনার। ২০১৫ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে হয়ে থাকলো দেশের হয়ে তার শেষ ম্যাচ।
‘ক্যারম বল’ এর স্রষ্টা মেন্ডিস। ক্যারিয়ারে ক্যারম বোর্ডের স্ট্রাইকারে টোকা দেওয়ার মতো করে লেগব্রেক ডেলিভারি দিয়ে দারুণ ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। ১৯ টেস্টে ৭০ উইকেট, ৮৭ ওয়ানডেতে ১৫২ আর ৩৯ টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করলেন তিনি।
২০০৮ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মেন্ডিসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ওয়ানডেতে ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপর এশিয়া কাপে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন এই স্পিনার। করাচিতে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানে নেন ৬ উইকেট।
ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ড এখনও মেন্ডিসের অধিকারে। ১৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান এই স্পিনার।
ওই বছরের জুলাইয়েই ডাক মেলে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দলে। তিন ম্যাচের সিরিজে দলকে ২-১ ব্যবধানে জেতাতে ২৬ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বল স্কিড করাতে পারতেন মেন্ডিস, পারতেন দুই দিকেই স্পিন করাতে। টি-টোয়েন্টিতে হয়ে উঠেছিলেন ভয়ঙ্কর।
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রানে নেন ৬ উইকেট। ২০০৯ ও ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে তুলতে রাখেন বড় অবদান। একমাত্র বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দুইবার নেন ৬ উইকেট। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৬ রানে।
পরে ব্যাটসম্যানরা তার কৌশল ধরে ফেলায় অবনতি ঘটে পারফরম্যান্সে। চোটের জন্য ফেরার পথ হয়ে যায় আরও কঠিন। ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত নিয়মিতই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশের হয়ে খেলেন মেন্ডিস।
চোটের কারণে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলের জন্য বিবেচনা করা হয়নি তাকে। এরপর ফিরলেও টিকে থাকতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটে শেষ দিকে ছিলেন পুলিশ স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক। এই দলে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে নিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ আট ইনিংসের চারটিতেই পান পঞ্চাশ ছোঁয়া রান।