দুই দিকেই সুইং করাতে পারেন এই পেসার। নতুন বলে হতে পারেন বেশ কার্যকর। কিন্তু নয় বছর পর এসে মিলছে না শফিউলের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব। ৮২ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৯৪ উইকেট।
“নয় বছর ধরে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। নিজের দিক থেকে আমি খুশি না। যখন জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলাম প্রথমবার, তারপর তিন বছর নিয়মিত খেলতাম। মাঝখানে হয়তো খেলতে পারিনি। ইনজুরি বা অন্যান্য কারণে। এখনও ক্যারিয়ার শেষ হয়নি। যদি সুযোগ পাই, যেটুকু সুযোগ পাই একটা অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে পারব।”
চোটই বেশি ভুগিয়েছে শফিউলকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব ভালো করে দলে ডাক পেয়ে খেলার আগেই পড়েছেন চোটে। কখনও কখনও এক-দুই ম্যাচ খেলেই ছিটকে গেছেন। নিজেকে সামলে রাখা নিয়ে কী কোনো সমস্যা ছিল?
“আমার নিজের ম্যানেজমেন্টে সমস্যা না। আসলে দুর্ভাগ্য বলব। আমি আমার কাজ সবসময় করার চেষ্টা করেছি। যখনই জাতীয় দলে ফিরে যাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি।”
আর খুব বেশি দিন হয়তো খেলবেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার অনুপস্থিতিতে পেস বোলিং আক্রমণে একজন নেতার দরকার হবে বাংলাদেশের। প্রয়োজন হবে নতুন বলে উইকেট এনে দিতে পারবেন এমন একজন পেসারের। শফিউল জানান, এসব নিয়ে না ভেবে নিজের উন্নতির দিকেই তার মনোযোগ।
“কারো সাথে কারো তুলনা করব না। কার পরে কে এটা নিয়ে ভাবি না। আমার উন্নতি করার জায়গা আছে।”
“নতুন বলে আমি অ্যাকুরেসি বা এসব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। যদি এলোমেলো বল হয় তাহলে তো সুইং করিয়েও লাভ নেই। তো অ্যাকুরেসিটা ঠিক করার চেষ্টা করব যেন এক জায়গায় বারবার বল করতে পারি। সুইংয়ের সাথে সাথে এটাও যেন করতে পারি সেই চেষ্টা করছি। তাহলে আমার জন্য ভালো।”