নিজেকে বদলে বাংলাদেশে মানিয়ে নিতে চান ডমিঙ্গো

বাংলাদেশের সবশেষ কোচ যে কারণে টিকতে পারেননি, নতুন কোচের দায়িত্ব শুরু হতে পারে সেই শঙ্কা নিয়েই। ‘কালচারাল’ ব্যবধান কিংবা দূরত্ব! রাসেল ডমিঙ্গো যদিও এটি নিয়ে বেশ সতর্ক ও আশাবাদী। দূরত্ব কমানোর ভাবনা নিয়েই এসেছেন তিনি। একই মনোভাব নতুন বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টেরও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2019, 11:27 AM
Updated : 21 August 2019, 11:27 AM

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও স্টিভ রোডস বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থাকতে পারেননি বিশ্বকাপের পর। বিসিবি থেকে বলা হয়েছিল, পারস্পরিক সমঝোতায় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দুই পক্ষ। পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, রোডসের দায়িত্ব পালনে বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘কালচারাল মিসম্যাচ।’

সেই ‘মিসম্যাচের’ শঙ্কা প্রবল ভাবে আছে ডমিঙ্গোকে নিয়েও। কোচ হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকলেও উপমহাদেশ তো বহুদূর, দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে কখনও কাজের অভিজ্ঞতা নেই তার। এই দেশের সামাজিকতা, সংস্কৃতি, সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এখানকার ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিন্দুমাত্র মিলও নেই। এসব তাই তার জন্য বড় এক ধাক্কা হয়ে আসতে পারে।

বাংলাদেশে আসার পর ডমিঙ্গোর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন ছিল অবধারিতই। নতুন কোচ শোনালেন, এই দূরত্ব দূর করতে তার নিজের ভাবনা।

“আমি যেভাবে ভাবি, আমরা এখানে দুনিয়া বদলে দিতে আসিনি। আমরা সব সময়ই জানি, উপমহাদেশে ক্রিকেটটা কিভাবে খেলা হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমাদের মতো করে তোলার আশা আমরা করতে পারি না। আমাদেরই এখানকার ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”

“আমাদের ধরন, পদ্ধতি এখানকার ক্রিকেট সংগঠক, ক্রিকেটারদের মধ্যে কিভাবে কাজ করে, সেটি বের করতে হবে আমাদেরকেই। এখানকার সংস্কৃতিতে মানিয়ে নিতে হলে আমাদেরকেই বদলাতে হবে।”

কিছু দিন আফগানিস্তানের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করায় উপমহাদেশের সংস্কৃতির স্বাদ খানিকটা পেয়েছেন বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট। তবে সেটি ছিল স্বল্প মেয়াদের দায়িত্ব। সেভাবে আফগানিস্তানে থাকতেও হয়নি তাকে। এবারের চ্যালেঞ্জ আরও বড়।

নতুন কোচের মতো বোলিং কোচও ভেবেছেন এটি নিয়ে। নিজের মতো করে এগোতে চান তিনিও।

“আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করায় কিছুটা অভিজ্ঞতা আমার আছে। কাজটা খুব কঠিন নয় (মানিয়ে নেওয়া)। এখানকার আবেগের তীব্রতা অবশ্যই আমাদের জন্য নতুন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এতটা দেখি না। তবে এখানকার সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে না।”

“মূল ব্যাপারটি হলো ক্রিকেটারদের সামলানো, তাদেরকে জানা, কথা বলা। যতটা কঠিন বলা হয়, কাজটা তত কঠিন নয়। এখানে আবেগের মাত্রা বেশি, সেটির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতেই হবে।”