অ্যাশেজের লর্ডস টেস্টের পারফরম্যান্সে এসেছে র্যাঙ্কিংয়ের এই পরিবর্তনগুলো। প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের পর লর্ডসে ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। রেটিং পয়েন্ট ১৬ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৪।
এটি তার নিজের ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট তো বটেই, স্পর্শ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসেই বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা রেটিং পয়েন্ট। ২০০১ অ্যাশেজের ওভাল টেস্টের পর ম্যাকগ্রার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯১৪।
বোলারদের সর্বকালের সেরা রেটিং পয়েন্টের হিসাবে ম্যাকগ্রা ও কামিন্সের যৌথ অবস্থান পঞ্চম। ১৯১৪ সালে সিডনি বার্নসের অর্জন করা ৯৩২ রেটিং পয়েন্ট বোলারদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কামিন্সের দৃষ্টি নিশ্চিতভাবেই থাকছে সেখানে।
স্মিথের চোখ যেমন আছে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ডন ব্র্যাডম্যানের ৯৬১ রেটিং পয়েন্টের রেকর্ডের দিকে। এবার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির পর ফিরেছিলেন ৯০০ রেটিং পয়েন্টের দলে। লর্ডস টেস্টে নিজের একমাত্র ইনিংসে ৯২ রানের ইনিংস খেলে এগিয়ে গেছেন আরেকটু। দুইয়ে থাকা স্মিথের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯১৩। শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলির চেয়ে পিছিয়ে আছেন কেবল ৯ পয়েন্ট।
অ্যাশেজের আরও তিনটি টেস্ট বাকি আছে। সামনেই শুরু হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজ। কোহলি ও স্মিথের র্যাঙ্কিংয়ের লড়াইও তাই জমতে পারে দারুণ।
স্মিথের উল্টো পিঠে আছেন তার মতোই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ডেভিড ওর্য়ানার। অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন এই ওপেনার। তাই চলে গেছেন সেরা দশের বাইরে। চার ধাপ পিছিয়ে তার অবস্থান এখন একাদশ।
পিছিয়েছেন বড় ইনিংস খেলতে না পারা জো রুটও। ইংলিশ অধিনায়ক ছয় থেকে নেমেছেন নয়ে। লর্ডস টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকস ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৬তম স্থানে।
অ্যাশেজের বাইরে এই র্যাঙ্কিং আপডেটের বিবেচনায় ছিল শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের গল টেস্টও। চতুর্থ ইনিংসে ম্যাচ জেতানো অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং অর্জন করেছেন দিমুথ করুনারত্নে। চার ধাপ এগিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক উঠেছেন আটে।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও নিয়মিত টুকটাক অবদান রাখছেন কামিন্স। সেটির প্রতিফলন পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে ভার্নন ফিল্যান্ডারকে ছয়ে নামিয়ে কামিন্স উঠেছেন পাঁচে।