মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিমরা কথা বলেছেন উত্তরসূরিদের সঙ্গে, উজ্জীবিত করেছেন; বাতলে দিয়েছেন এগিয়ে চলার পথ।
একদিনের ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে রোববার বিকেএসপিতে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের কাছে ১৮৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ এইচপি দল। বাংলাদেশের এই দলে খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈমদের মতো ক্রিকেটাররা, যাদেরকে মনে করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিকট ভবিষ্যতের সেনানী।
এইচপি দলের এই পারফরম্যান্স শঙ্কা জাগিয়ে তুলছে ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিছুদিন আগে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ভারত সফরে গিয়ে বিসিবি একাদশও করতে পারেনি খুব আশা জাগানিয়া কিছু।
সব মিলিয়ে জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেমন হতাশার, পরের পর্যায়েও নেই আশার ছবি। জাতীয় ক্রিকেটারদের চাপে ফেলার মতো ধারাবাহিক পারফরমার খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না পরের ধাপে।
সোমবার সকালে এইচপি দল আলোচনায় বসেছিল নিজেদের করণীয় নিয়ে। এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে জাতীয় দল ও আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। এইচপির সভায় তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় জাতীয় ক্রিকেটারদের।
এইচপি দলের কোচ সাইমন হেলমট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কড়া কথার পাশাপাশি মাশরাফি-মুশফিকরা প্রেরণা জুগিয়েছেন উত্তরসূরিদের।
“আজকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে আমাদের। খুবই খোলামেলা আলোচনা। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও ছিল। মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা, রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) সঙ্গে বলেছি, আরও কয়েকজনের সিনিয়রের সঙ্গেও বলেছি। এরপর মাশরাফি এসেছে। সে একদম মন থেকে কথা বলেছে, সত্যি কথাগুলি খোলাখুলি বলেছে। আমিসহ যারা কোচিং স্টাফে আছি, সবার কাজে সুবিধা হয়েছে এতে। সবার বার্তাগুলি ছিল কার্যকর। আশা করি ছেলেরা সেসব উপলব্ধি করতে পারবে।”
তিন ম্যাচের এই সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচও বিকেএসপিতে, আগামী বুধবার।