স্মিথের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বিপাকে ইংলিশরা

প্রথম দিনের পুরোটুকু ও তৃতীয় দিনের দুই সেশনের খেলা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এরপরও দারুণ জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট। স্টিভেন স্মিথের আরেকটি অসাধারণ ইনিংস টেনে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এরপর প্যাট কামিন্স ও পিটার সিডলের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গেছে ইংলিশরা। সব মিলিয়ে চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর মোড়ে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2019, 06:50 PM
Updated : 17 August 2019, 06:50 PM

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২৫৮ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ২৫০ রান। ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে আবারও অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা স্মিথ। আগের টেস্টের জোড়া সেঞ্চুরিয়ান এবার সেঞ্চুরি পাননি ৮ রানের জন্য।

ইংল্যান্ডের লিডও ছিল ৮ রানের। ম্যাচ তাই কার্যত হয়ে যায় এক ইনিংসের লড়াই। সেই লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রেখেছে পেসাররা। ইংল্যান্ড শনিবার দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১০৪ রানে এগিয়ে থেকে তারা শুরু করবে শেষ দিন।

সকালে অস্ট্রেলিয়া দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে। স্মিথকে খুব বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি ম্যাথু ওয়েড। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আউট হন ৪৫ বলে ৬ রান করে।

ষষ্ঠ উইকেটে স্মিথের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন টিম পেইন। দুজনের যোগ করেন ৬০ রান। ২৩ রান করা পেইনকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন জফরা আর্চার।

সঙ্গীকে হারিয়েও দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন স্মিথ। কিন্তু গড়বড় হয়ে যায় আর্চারের একটি বাউন্সার ঠিকমতো খেলতে না পেরে। বল লাগে স্মিথের ঘাড়ে, তখনই পড়ে যান উইকেটে। খানিকপর বাধ্য হন মাঠ ছাড়তে।

অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার খুব বেশি লড়াই করতে পারেনি। একটু সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফেরেন স্মিথ। উইকেটে গিয়ে বাউন্ডারি মারেন টানা দুটি। তবে চোটের কারণেই কিনা, আগের মতো জমাট মনে হচ্ছিল না তাকে। শেষ পর্যন্ত ৯২ রানে এলবিডব্লিউ হন ক্রিস ওকসের বল ছেড়ে দিয়ে।

স্মিথ বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়া এগোতে পারেনি খুব বেশি দূর। ইংল্যান্ড পায় লিড। ছোট্ট লিড হলেও মানসিকভাবে একটু এগিয়ে থাকার কথা ছিল ইংলিশদের। কিন্তু কামিন্সের ছোবলে শুরুতেই তারা হয়ে যায় এলোমেলো।

কামিন্সের বাউন্সার ঠিকমতো খেলতে না পেরে জেসন রয় ফিরতি ক্যাচ দেন ২ রানে। পরের বলেই ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে ফিরিয়ে দেন কামিন্স।

তৃতীয় উইকেটে ররি বার্নস ও জো ডেনলি গড়েন ৫৫ রানের জুটি। তবে থিতু হয়ে যাওয়া এই দুইজনকেই ফিরিয়ে দেন সিডল।

ইংলিশদের অবস্থা হতে পারত আরও খারাপ, যদি ন্যাথান লায়নের বলে বেন স্টোকসের ক্যাচটি স্লিপে নিতে পারতেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্টোকস ও জস বাটলার পরে চালিয়ে গেছেন লড়াই। ইংলিশদের স্বস্তি দিয়ে বৃষ্টিতে প্রায় ১০ ওভার আগে শেষ হয়েছে খেলা। শেষ দিনটি তবু তাদের শুরু করতে হবে অস্বস্তি নিয়েই। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৫৮

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৯৪.৩ ওভারে ২৫০ (আগের দিন ৮০/৪)(স্মিথ ৯২, ওয়েড ৬, পেইন ২৩, কামিন্স ২০, সিডল ৯, লায়ন ৬, হেইজেলউড ৩*; ব্রড ২৭.৩-৭-৬৫-৪, আর্চার ২৯-১১-৫৯-২, ওকস ১৯-৬-৬১-৩, স্টোকস ৮-১-১৭-০, লিচ ১১-৩-১৯-১)।

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩২.২ ওভারে ৯৬/৪ (বার্নস ২৯, রয় ২, রুট ০, ডেনলি ২৬, স্টোকস ১৬*, বাটলার ১০*; কামিন্স ৮.২-২-১৬-২, হেইজেলউড ৭-১-১৫-০, সিডল ৮-২-১৯-২, লায়ন ৯-২-৩৪-০)।