সাইফের ফেরার পথ জটিল

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের যে চোট তা সারাতে অস্ত্রোপচার কোনো কাজে আসবে না। আবার ইনজেকশন দিলেও সেটা কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে সন্দিহান চিকিৎসকরা। চোটের মূল কারণ বের করতে তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বোলিং অ্যাকশনের বায়োমেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এরপর নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2019, 03:13 PM
Updated : 4 August 2019, 03:13 PM

পিঠের ব্যথা গত নয় বছর ধরে ভোগাচ্ছে সাইফকে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপে খেলেছেন ইনজেকশন নিয়ে। অনুশীলনে বোলিং করার সময় ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ছিটকে যান শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে। প্রাথমিকভাবে সাইফকে তিন সপ্তাহ বিশ্রাম দিয়েছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বিসিবি তরুণ এই পেসারের বায়োমেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের নির্দেশ দিয়েছে। 

“ওর সমস্যার কারণটা আমাদের নির্ণয় করতে হবে। এটা নির্ণয় করা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। আইসিসির অনুমোদিত কিছু নির্দিষ্ট জায়গা আছে যেমন, অস্ট্রেলিয়ায় আছে, ইংল্যান্ডে আছে, এমনকি ভারতেও আছে। আমরা এদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। আজকেই আমাদের জানানো হলো যে, আমরা যেন এই ব্যাপারে এগোই। কোথায় যাব নিশ্চিত করতে হয়তো সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে।”

বোলিং অ্যাকশনের বায়োমেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট কেন প্রয়োজন ডা. দেবাশীষ দিলেন তার ব্যাখ্যা। জানালেন, প্রয়োজনে বোলিং অ্যাকশনের পরিবর্তনও আনতে হতে পারে সাইফকে।

“নয় বছর ধরে এই চোট ভোগাচ্ছে সাইফকে। মাঝখানে দুইবার ইনজেকশন নিয়ে কিছু দিন ব্যথা মুক্তভাবে খেলতে পেরেছে। ব্যথা এখন আবার বেড়ে গেছে। আমরা এবার ওর ব্যথার মূল কারণ জানার চেষ্টা করছি।” 

“অ্যাসেসমেন্ট করা হলে যদি নিশ্চিত হয় যে, ওর বোলিং অ্যাকশনের জন্য সমস্যা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই সেটার সংশোধনের জন্য ওদের যে নির্দেশনা থাকবে আমরা তা অনুসরণ করব।”

এই সময়ে এসে বোলিং অ্যাকশনে কোনো পরিবর্তন আনা সহজ কথা নয়। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক জানান, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাইফের ক্যারিয়ারকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেবেন তারা।

“সাইফের জন্য, ওর ক্যারিয়ারের জন্য যা সবচাইতে ভালো মনে করবেন ওখানকার বিশেষজ্ঞরা আমরা সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। এখন টেকনিক্যাল পরিবর্তন আসবে কি আসবে না এটি ওই অ্যাসেসমেন্টের পর আমরা জানতে পারবো।”

আপাতত বোলিং অ্যাকশনের অ্যাসেসমেন্টের দিকে তাকিয়ে আছেন সাইফ। এরপর শুরু করবেন মাঠে ফেরার লড়াই।

“নিজেকে সবসময় ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করি। চোটের জন্য বাইরে থাকলে নিজের দিকে আমার মনোযোগ বেশি থাকে। কখনও কখনও সিনেমা দেখি। রুমে থাকলেও সময়টা উপভোগ্য করার চেষ্টা করি।”