বিপিএলে খেলোয়াড় নেওয়া এবং ধরে রাখার নিয়মে পরিবর্তন এসেছে অসংখ্যবার। ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের গত কয়েক আসরে নিলামে তোলা হয়নি। দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে এই ক্যাটাগরির খেলোয়াড়কে ভাগ করে নেয়।
আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের সপ্তম আসর। শুরুর দিন ঠিক হলেও এখনও অনেক কাজই বাকি। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি নবায়ন করেনি। গভর্নিং কাউন্সিল এখনও ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের তালিকা ঠিক করেনি।
গত আসরে তৃতীয় হওয়া রংপুর বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সময়ের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে দলে নেওয়ার কথা জানায়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রংপুরের সিইও জাফর সাদেক জানান, সাকিবকে তারা সম্ভাব্য ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার ধরে নিয়ে দলে নিয়েছেন।
গত দুই আসরে রংপুরের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগামী আসরে বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকবেন না ধরে নিয়েছে রংপুর।
“মাশরাফি টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছে। খুব শিগগিরই ওয়ানডে থেকেও অবসর নেবে। এই আসরে হয়তো সে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকবে না। সে আমাদের পরিকল্পনায় আছে। বিসিবি তাকে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে না রাখলে এবং সে আমাদের প্রস্তাবে রাজি হলে আমরা তাকে ধরে রাখব।”
গতবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো চারজন করে দেশি ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পেরেছিল। সেবার যত ইচ্ছা বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করার সুযোগ ছিল। এবার সর্বোচ্চ দুই জন বিদেশি খেলোয়াড়কে সরাসরি দলে নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। দেশি খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এবার নিয়ম কি তা জানতে গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান ও সদস্য সচিবকে অনেকবার ফোন করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বিপিএলের সবশেষ তিন আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। ঢাকার সিইও ওবায়েদ নিজাম জানান, সাকিবের দল ছাড়ার ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করবে না ঢাকা ডায়নামাইটস। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজেদের অবস্থান জানাবে গত দুই আসরের রানার্সআপরা।
২০১৫ আসরে রংপুর রাইডার্সে খেলেছিলেন সাকিব। সে সময় মালিকপক্ষ ছিল ভিন্ন।
ঢাকা ডায়নামাইটসকে টানা তিন আসরের ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল, পরের দুই আসরে রানার্সআপ।