ঘুরে দাঁড়াতে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি মনোযোগ চান মুশফিক

কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে সতীর্থদের কাছ থেকে আরও বেশি চান মুশফিকুর রহিম। সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব ফিল্ডিংয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি মনোযোগ চাইলেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2019, 01:49 PM
Updated : 29 July 2019, 01:49 PM

বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে ফিল্ডিং। বিসিবি জানিয়েছে, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের কাছে ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইবেন তারা। শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারার পর মুশফিক জানান, ঘুরে দাঁড়াতে সবার আগে প্রয়োজন ফিল্ডিংয়ে উন্নতি।

“সবাই নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছে, এটা আমি বলতে পারি। বাইরে থেকে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটা দেখা যায়, কেমন হচ্ছে না হচ্ছে। ফিল্ডিং নিয়ে যদি আমরা আরেকটু তৎপরতা দেখাই তাহলে আমার মনে হয়, আমাদের দল আরও চাঙ্গা থাকবে।”

৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে হারের জন্য প্রথম ১০-১৫ ওভারে নিজেদের ব্যাটিং ও বোলিংকে দায় দিলেন মুশফিক।

“প্রথম ১০/১৫ ওভারে আমরা ব্যাটিং-বোলিং ভালো করতে পারিনি। যখন কোনো দল নতুন বলে বা প্রথম ১০ ওভারে ৪/৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন হয়ে যায়। শুরু থেকে রানের গতি ঠিক রাখতে হয় নয়তো মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি বাড়াতে হয়। সেদিক থেকে এগুলোই আমাদের হারের কারণ।”

“যে কোনো দলই চায় নতুন বলে উইকেট নিতে। আমরা যখন আগে বোলিং করি আমরাও চাই প্রথম ১০ ওভারে যেন অন্তত দুইটা উইকেট নিতে পারি। যখন আগে ব্যাটিং করি তখন যেন একটার বেশি উইকেট না হারিয়ে অন্তত ৩৫-৪০ রান করতে পারি। এগুলো পরিকল্পনা থাকে তবে বাস্তবায়নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুইটা ম্যাচে আমরা করতে পারিনি।”

আট নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হেরেছে প্রথম দুই ম্যাচেই। মুশফিক মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভালো করতে না পারায় চিত্রটা এমন বাজে দেখাচ্ছে।

“আজকে (রোববার) আমাদের একটা বাঁচা-মরার ম্যাচ ছিল। যেখানে জিতলে আমরা সিরিজে টিকে থাকতাম। তা হয়নি। বিশ্বকাপের শেষ দিকে ভারতের বিপক্ষে জিতলে হয়তো আমরা সেমি-ফাইনালে যেতে পারতাম। গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারছি না। এর বাইরে আমার মনে হয় চিন্তিত হওয়ার মতো কিছু নেই।”

“আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম বিশ্বকাপে সেভাবে হয়নি। এখানে ভালো করে এটা প্রমাণের সুযোগ ছিল যে আমরা সঠিক পথেই আছি। শেষ দুইটা ম্যাচে ভালো করতে পারিনি বলে আগের ৫/৭ বছরে যা করেছি তা মুছে যাবে ব্যাপারটা এমন না। এটা ঠিক যে আমাদের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমরা সংগ্রাম করছি। এটা এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ, আমরা কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারি এবং কত দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরতে পারি।”