শেষ ওভারে যা ছিল মুশফিকের ভাবনায় 

শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরির হাতছানি থাকলেও ইনিংসের দ্বিতীয় শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে চলে যান নন স্ট্রাইক প্রান্তে। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে যাওয়া এই কিপার-ব্যাটসম্যান জানান, নিজের সেঞ্চুরি নয় ভাবছিলেন দলকে আড়াইশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2019, 12:10 PM
Updated : 29 July 2019, 12:20 PM

৪৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৩০/৭। ৯৫ রানে খেলছিলেন মুশফিক। নুয়ান প্রদিপের করা শেষ ওভারে তিন বল খেলে নেন তিনটি সিঙ্গেল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৫০তম ওভার খেলার সময় তার মাথায় কি চলছিল।
 
“লক্ষ্য ছিল অন্তত আড়াইশ রান করার। ওই উইকেটে আড়াইশ রান তাড়া করে জেতা সহজ হতো না। শেষ ওভারে চেষ্টা করেছিলাম আমি স্ট্রাইকে থেকে চার বা ছয় হাঁকানোর কিংবা অন্তত দুই করে নেওয়ার।” 
 
“দ্বিতীয় শেষ বলটায় চেয়েছিলাম দুই রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখতে। ফিল্ডার বরাবর বল যাওয়ায় সেটা করতে পারিনি।”
 
দলের অনেকেই রানের জন্য ভুগছেন। নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না ধারাবাহিক ভাবে। গত বিশ্বকাপ থেকে সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিক। সাকিব না থাকায় এবার যেন পুরো ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তার কাঁধে। সবশেষ ১০ ইনিংসে পাঁচ ফিফটি করা এই ব্যাটসম্যানের আশা, সবাই নিজের মতো করে বের করে নেবেন ধারাবাহিক হওয়ার উপায়। 

“সবারই খারাপ সময় যেতে পারে। অনেক সময় অনেকে বেশি চেষ্টা করলেও কোনো ফল হয় না। আমাদের টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার পর্যন্ত সবাই চেষ্টা করছে। আমিও সেভাবেই চেষ্টা করছি। প্রক্রিয়া সবাই জানে। এখানে আসা কতটা কঠিন এবং এটা ধরে রাখা কঠিন সবাই জানে। আমার মনে হয় না, কেউ এতো সহজে নিজের জায়গাটা ছেড়ে দিতে চাইবে।” 
 
“এমন না যে আমি গত ১৫-২০ বছর ধরে এমন খেলছি। গত কয়েক বছর ধরে হয়তো ধারাবাহিক হয়েছি। যারা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারাও এক সময় এমন ধারাবাহিক ছিল। ওরাও জানে, ধারাবাহিক হওয়ার জন্য কি কি করতে হয়।” 
 

লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটানো মুশফিকের ধারণা, রানে না থাকায় কোনো কোনো ব্যাটসম্যান হয়তো পরিস্থিতি পড়তে ভুল করছেন। একটু সময় পেলেই কেটে যাবে এই সমস্যা।
 
“আমার মনে হয়, ম্যাচের চিত্র, ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা জরুরি। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উইকেটে কত রান হলে লড়াই করা যাবে, কোন বোলারকে কোথায় খেলতে হবে, কোন বোলারের বিপক্ষে কতটা ঝুঁকি নেওয়া যাবে এই হিসাবগুলো করতে হয়।” 
 
“হয়তো রানে না থাকায় গেইম সেন্সের এই ব্যাপারগুলো মাথায় সেভাবে কাজ করে না। আমরা নিজেদের মধ্যে খেলা নিয়ে কথা বলি। আমরা একজন অন্য জনকে সহায়তা করতে চেষ্টা করি। এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কোনোটাই নাই, যদি আপনার কোনো কথা বা সহায়তায় কেউ রান করে আর সেটা ম্যাচে প্রভাব ফেলে। যতক্ষণ ব্যাটিং করি ততক্ষণ পার্টনারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি।”