সবশেষ ১১ ইনিংসে তামিমের ফিফটি কেবল একটি। সবশেষ ছয় ইনিংসে বোল্ড হয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। বিশ্বকাপ থেকে চারবার বাইরের বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ফিফটি করেছিলেন সৌম্য। তরুণ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৪২ রান। সবশেষ ১০ ইনিংসে এটাই হয়ে আছে তার সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপে আট ম্যাচের সাতটিতেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডারের টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন ছিল ৪১ রান। তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া মিঠুন দুই ম্যাচে করেছেন ১০ ও ১২।
সতীর্থদের মাঝে পরিশ্রমের ঘাটতি দেখছেন না মুশফিক। তামিম, সৌম্য, মিঠুন যে দ্রুত বড় ইনিংস খেলবেন তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই ছন্দে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
“হতে পারে তামিম বা সৌম্য বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। তবে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ থেকেই ওরা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। …ওরা ইনিংসগুলো বড় করতে পারছে না। এই ম্যাচেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তামিম বোল্ড হয়ে গেছে। ভাগ্যকে পাশে পাচ্ছে না।”
“আমার মনে হয়, ওরা খুব ভালোভাবে চেষ্টা করছে। আরও একটা ম্যাচ আছে, ওরা যদি ভালো শুরু এনে দেয়… দিনশেষে ওরা চেষ্টা করছে। আশা করছি, টপ অর্ডারে যারা খেলছে তারা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।”
প্রথম ম্যাচে অষ্টম ওভারে ক্রিজে গিয়েছিলেন মুশফিক। পরের ম্যাচে নবম ওভারে। উইকেট ধরে রাখার সঙ্গে নজর রাখতে হয় রানের গতিতে। প্রতি ম্যাচেই দিতে হয় সামর্থ্যের কঠিন পরীক্ষা।
“অবশ্যই আমার জন্য এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করা একটু কষ্টকর। কারণ, তখন ঝুঁকি নিতে চাইলেও ভাবনাটা থাকে যে, আউট হলে হয়তো অতোটা রান হবে না বা পিছন দিকে তো তেমন কোনো ব্যাটসম্যান নাই। এটা একটু কঠিন হয়ে যায়।”
“বারবার ব্যর্থ কেউ হতে চায় না। ওরা চেষ্টা করছে। আশা করি, ওরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে। আর আমার দিক থেকে চেষ্টা থাকবে পরিস্থিতি বুঝে খেলার। আমি চাই না এমন পরিস্থিতিতে আবার পড়ি তবে পড়ে গেলে আবার নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
মুশফিকের অপরাজিত ৯৮ রানের পরও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেছে সিরিজ। তিন ওয়ানডের সিরিজের শেষটি হবে আগামী বুধবার।