প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া জো রুটের দল তৃতীয় দিনেই জিতল ১৪৩ রানে।
দিনের শুরুটা ছিল আয়ারল্যান্ডের জন্য দারুণ। প্রথম বলে অলিভার স্টোনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ৩০৩ রানে থামিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট টম্পসন। আয়ারল্যান্ড পেয়েছিল ১৮২ রানের লক্ষ্য।
একমাত্র টেস্টের প্রথম সকালে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের যে দুঃস্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আইরিশ বোলাররা তৃতীয় দিন সকালে সেটাই সফরকারীদের ফিরিয়ে দেন ওকস ও ব্রড। নতুন বল হাতে পাওয়া দুই পেসারই শেষ করে দেন আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত সুইং বোলিংয়ের কোনো জবাব জানা ছিল না উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড-পল স্টার্লিংদের। ১৫ ওভার ৪ বলে ৩৮ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ইতিহাসে এটি সপ্তম সর্বনিম্ন সংগ্রহ। বলের দিক থেকে এর চেয়ে কম বল স্থায়ী ইনিংস আছে কেবল একটি। ১৯২৪ সালে বার্মিংহ্যামে ৭৫ বল টিকেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
চতুর্থ ওভারে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডকে কটবিহাইন্ড করে শিকার শুরু করেন ওকস। সপ্তম ওভারে অ্যান্ডি বালবার্নিকে বিদায় করে শিকার ধরেন ব্রড।
কন্ডিশনের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগানো দুই পেসারের সামনে টিকতে পারেননি আইরিশদের কোনো ব্যাটসম্যান। দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল জেমস ম্যাককলাম। এক চারে করেন ১১ রান।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৬ উইকেট পেলেন ওকস। তিন বছর আগে লর্ডসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭০ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এবার পেলেন ১৭ রানে। ব্রড ৪ উইকেট নেন ১৯ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১১২ বছরের মধ্যে এটাই টেস্টে জেতা কোনো দলের প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
নাইটওয়াচম্যান নেমে ৯২ রানের চমৎকার ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জ্যাক লিচ।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে বোলারদের পারফরম্যান্স স্বস্তি দেবে স্বাগতিকদের। তবে দুর্ভাবনা থাকছে ব্যাটিং নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮৫
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০৭
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩০৩
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৮২) ১৫.৪ ওভারে ৩৮ (পোর্টারফিল্ড ২, ম্যাককলাম ১১, বালবার্নি ৫, স্টার্লিং ০, ও’ব্রায়েন ৪, উইলসন ০, টম্পসন ৪, অ্যাডায়ার ৮, ম্যাকব্রায়ান ০, মারটাঘ ২, র্যানকিন ০*; ব্রড ৮-৩-১৯-৪, ওকস ৭.৪-২-১৭-৬)
ফল: ইংল্যান্ড ১৪৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জ্যাক লিচ