বাংলাদেশের জন্য যেমন কোচ খুঁজছে বিসিবি

বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধান কোচ নিয়োগে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি। খোঁজা হচ্ছে কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করানোর মতো অভিজ্ঞ একজন। দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনায় এগিয়ে থাকবেন উপমহাদেশের দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা যদি কারও থাকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2019, 03:19 PM
Updated : 24 July 2019, 03:19 PM

স্টিভ রোডসের সঙ্গে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর পারস্পরিক সমঝোতায় দায়িত্ব ছেড়েছেন এই ইংলিশ কোচ। শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মাহমুদ।
 
সম্ভাব্য পরবর্তী কোচ হিসেবে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে বেশ কিছু নাম। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান জানালেন, অনেকের সঙ্গেই আলোচনা চলছে তাদের।
 
“আমাদের কোচ নিয়ে প্রক্রিয়া চলছে। হেড কোচ, ফাস্ট বোলিং কোচ দেখছি, আবার ফিজিও আছে। আমরা এবার ঠাণ্ডা মাথায় বুঝে শুনে কোচ নিতে চাচ্ছি। শুধু নাম দেখে না। কিংবা শুধু বিগত অভিজ্ঞতা দেখে না।”
 
“আমরা তো এখনই চাচ্ছি কাউকে পেতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু বিশ্বকাপের পর কয়েকজনের কমিটমেন্ট এখনও শেষ হয়নি। সেজন্য কিছু আটকে আছে। কথাবার্তা চলছে অনেকের সঙ্গেই। অনেকের সঙ্গে বলছি।”
 
কোচ চেয়ে এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিসিবি। গত ১৮ জুলাই শেষ হয়ে গেছে আবেদনের সময়। বিসিবি প্রধান জানোলেন, আবেদন করাদের বাইরে থেকেও আলোচনা চলছে তাদের।
 
“বিজ্ঞাপন তো একটি আনুষ্ঠানিকতা। এটা করতেই হবে। তবে নামিদামী কোচদের অনেকে আবেদন করে না। তাদের এজেন্ট থাকে, তার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়। ওরা আসছে, আমরাও কথা বলছি।”
 
কোচ বাছাইয়ে কোন দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বোর্ড, নাজমুল হাসান কিছুটা ধারণা দিলেন সেটি। 
 
“প্রথমটা হলো অভিজ্ঞতা। জাতীয় দলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত উপমহাদেশের দলকে কোচিং করানো অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। বাকিগুলা মোটামুটি সাধারণই। তবে আমাদের চাওয়া থাকলেই তো শুধু হবে না, কেমন কাউকে পেতেও হবে।”
 
বিশ্বকাপের পর বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। বিসিবি প্রধান জানালেন, নতুন বোলিং কোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় হয়েই গেছে। শনিবার বিসিবি সভায় চূড়ান্ত হতে পারে পরবর্তী বোলিং কোচ।